শরীয়তের বিধান হলো অহংকার বশত টাখনুর উপরে প্যান্ট পরিধান করা মারাত্মক কবীরা গুনাহ।
তবে যদি অহংকার না থাকে,তাহলে এটা নাজায়েজ।
কোনো ক্রমেই এটি জায়েজ নয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়া জায়েজ নেই।
এতে গুনাহ হবে।
তবে এভাবে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না (রাগান্বিত থাকবেন)।-বুখারী, হাদীস : ৫৭৯১; মুসলিম, হাদীস : ২০৮৫/৪৪
অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أَسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, টাখনুর নিচের যে অংশ পায়জামা বা লুঙ্গি দ্বারা ঢাকা থাকে তা জাহান্নামে যাবে। {বুখারী, হাদীস নং-৫৭৮৭, ৫৪৫০}
★শরীয়তের বিধান মতে হাফ হাতা জামা বা শার্ট পরে নামায আদায় করা অনুত্তম।
(হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ১৯৯; রদ্দুল মুহতার ১/৪৫৭)
হাফ হাতা শার্ট অথবা গেঞ্জি অথবা টি-শার্ট যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করে, তাহলে হয়ে যাবে। সালাত না হওয়ার কোনো কারণ এখানে নেই।
আর স্যান্ডো গেঞ্জি যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করেন, তাহলে তাঁর সালাত মাকরুহ হয়ে যাবে। কাঁধের ওপর যদি কোনো কাপড় দেওয়া থাকে বা চাদর দেওয়া থাকে, তাহলে তাঁর সালাত হয়ে যাবে। মূল কথা হলো, সালাতের সময় কাঁধ ঢাকতে হবে তাঁকে।
(ইফতা বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।)
এমন শালীন পোশাক যা পরিধান করে মানুষ মান সম্মত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে এবং উপযোগী হিসেবে মনে করে এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া উচিত। যে পোশাক পরিধান করে মানসম্মত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে মানুষ অপছন্দ করে এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহে তানজিহী।
এ মূলনীতির আলোকে যেহেতু বুজুর্গানে দ্বীনের মজলিস বা রাষ্ট্রীয় মজলিসে হাফ হাতা শার্ট পরিধান করে যাওয়াকে অপছন্দ করা হয়, তাই এরকম কাপড় পরিধান করে নামায পড়া খেলাফে সুন্নত তথা মাকরূহে তানজিহী হবে। অন্য কোন কাপড় না থাকলে মাকরূহ হবে না।
,
( قَوْلُهُ وَصَلَاتُهُ فِي ثِيَابٍ بِذْلَةٍ ) الخ قَالَ فِي الْبَحْرِ ، وَفَسَّرَهَا فِي شَرْحِ الْوِقَايَةِ بِمَا يَلْبَسُهُ فِي بَيْتِهِ وَلَا يَذْهَبُ بِهِ إلَى الْأَكَابِرِ وَالظَّاهِرُ أَنَّالْكَرَاهَةَ تَنْزِيهِيَّةٌ (رد المحتار- كتاب الصلاة، بَابُ مَا يُفْسِدُ الصَّلَاةَ وَمَا يُكْرَهُ فِيهَا [ فُرُوعٌ ] مَشَى مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ هَلْ تَفْسُدُ- 1/254، مراقى الفلاح-292
সারমর্মঃ
যেসমস্ত পোশাক পড়ে বড়দের সামনে যাওয়া যায়না,সেটি পড়ে নামাজ পড়া মাকরুহে তানযিহি, তথা অনুত্তম।
الإستفسار صلى رافعا كمى قيسصه الى المرفقين هل يجوز الصلاة الإستبشار؟ نعم لكن يكره كذا فى فتاوى قاضيخان- (نفع المفلى والسائل-65، فتح القدير-1/418، قاضيخان على هامش الهندية-1/135
সারমর্মঃ
এভাবে নামাজ পড়া জায়েজ আছে,তবে মাকরুহ হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, হাফ হাতা গেঞ্জি ইত্যাদি পড়ে নামাজ পড়া জায়েজ আছে,তবে এটি অনুত্তম।