আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
Assalamalaikum
Can I paint natural things to reduce anxiety?  Not drawing or painting any living objects? Just painting as a hobby in Islam?
Also how to live without stress in day to day life?

Jazak Allah Khairan.

1 Answer

0 votes
ago by (687,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।

যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত শুরুতে উদ্বেগ কমাতে আপনি প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের ছবি আঁকতে পারবেন তবে কোনক্রমে কোন প্রাণীর ছবি আঁকা জায়েজ হবে না।

★দৈনন্দিন জীবনে চাপমুক্ত থাকার জন্য করণীয়ঃ-

★আল্লাহর জিকির (স্মরণ) হলো প্রশান্তির মূল উৎস।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
“জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।”
(সূরা রা’দ, আয়াত ২৮)

যখন মন অশান্ত বা উদ্বিগ্ন হয়, তখন নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া বা তাসবীহ পড়া,মানসিক চাপ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

সকালে ও বিকেলে আযকারুল সাবাহ ওল মাসা পড়া

“لا حول ولا قوة إلا بالله” (লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) বেশি পড়া

নামাজে মনোযোগী হওয়া

★ তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা)

وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
“যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াত ৩)

যখন আমরা বুঝি যে ফলাফল আল্লাহর হাতে, তখন ব্যর্থতার ভয় বা চিন্তা অনেক কমে যায়।
তাওয়াক্কুল মানে কাজ ছেড়ে দেওয়া নয় — বরং পরিশ্রমের পর ফলাফলের চিন্তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া।

নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করো
তারপর বলবেন: “হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু”

ফলাফল যা-ই আসুক, শান্ত চিত্তে মেনে নিবেন।

★নামাজ ও দোয়ায় মন প্রশান্ত করা

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

 اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ
“ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও।”
(সূরা আল-বাকারা, ৪৫)


যখন মন খারাপ, দুশ্চিন্তা বা ভয় হয় — তখন নামাজ পড়া, সেজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে কেঁদে নেওয়া, নিজের মনের কথা বলা — এটি এক বিশাল “রিলিজ”।

 বিশেষ দোয়া:

“اللهم إني أعوذ بك من الهم والحزن، وأعوذ بك من العجز والكسل…”
(হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ ও উদ্বেগ থেকে...)
( সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬৯)

★কদরে বিশ্বাস (তাকদিরে সন্তুষ্টি)

 قُل لَّن يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا
“বলুন, আমাদের কেবল সেই ঘটনাই ঘটবে যা আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন।”
(সূরা আত-তাওবা, ৫১)

জীবনের যা ঘটে, ভালো বা খারাপ — সবই আল্লাহর নির্ধারিত পরীক্ষা।
এই বিশ্বাস রাখলে — অতীতের অনুশোচনা, ভবিষ্যতের ভয়, বর্তমানের দুশ্চিন্তা অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।

★পরিমিত জীবন ও দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমানো

চাপের মূল কারণ অনেক সময় হয় —
“লোক কী বলবে?”, “আমি আরও বেশি চাই”, “আমার জীবন কেন ওদের মতো না?”

নবী ﷺ বলেছেন:

انظروا إلى من هو أسفل منكم، ولا تنظروا إلى من هو فوقكم
“তোমরা তাদের দিকে তাকাও যারা তোমাদের চেয়ে নিচে অবস্থানে আছে,
তাদের দিকে নয় যারা তোমাদের চেয়ে উঁচু অবস্থানে।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৬৩)

★অন্যকে সাহায্য করা।
অন্যকে উপকার করা মানসিক শান্তির অসাধারণ উপায়।
নবী ﷺ বলেছেন:

أَحَبُّ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সে, যে অন্যদের উপকারে আসে।”
( মু’জামুল আওসাত, হাদীস ৬১৯২)

অন্যের কষ্ট লাঘব করলে নিজের মনও শান্ত হয়।

★পর্যাপ্ত ঘুম, পবিত্র খাবার, এবং একাকী সময়

ইসলামে শরীর ও মনের ভারসাম্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নবী ﷺ মাঝেমধ্যে নিঃশব্দে একাকী সময় কাটাতেন (তাফাক্কুর)।

বিশ্রাম, সঠিক খাদ্য, ও নিয়মিত তাসবীহ — এগুলোও চাপ কমায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...