আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in ওয়াসওয়াসা by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় এ আমি নতুন জানলাম। যে আল্লাহর গুনবাচক নাম কারো রাখা যাবে না৷ আর সেই নামে  নাকি কাউকে ডাকা যাবে না। এখন আমি জানি না কোন কোন নাম ডাকলে সমস্যা হয়। আপনাদের কাছে তাই বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। কিন্তু মানুষ তো অহরহ ভাবে কত নামেই ডাকতেছে।  যেমন : জব্বার, রাজ্জাক, কাদির, লতিফ, রহীম, রহমান । মানুষ এগুলো নাম রাখে, আর অনেকে ডাকেও।

১) কেউ এসব নামে  মানুষ কে ডাকার কারনে তার ঈমানে সমস্যা হবে?  নাকি এসব নাম নিয়ে মজা করলে?  কারোর নাম যদি এসব হয় তাহলে তো মানুষ কে এই নামে ডাকতেই হবে। যে ডাকতেছে সে তো মানুষ কে ডাকতেছে।  আমাকে বুঝায় দিন দয়া করে।

২) আমার এক মামার নাম কাইয়ুম। আমি প্রায়ই ডেকে ফেলি কাইয়ুম মামা। আমার বাসায় সবাই তাকে নাম ধরে ডাকে। উনাকে সবাই এই নামেই ডাকে। আবার এক নানার নাম ওয়াহাব। উনাকেও সবাই এই নামেই ডাকে। এখন থেকে কি এই নামে আর ডাকতে পারবো না? ডাকলে কি ঈমানে সমস্যা হবে? যেহেতু এখন জেনে গেছি।

1 Answer

0 votes
ago by (687,630 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। আগের প্রশ্নে সম্মানিত মুফতি উত্তর দিয়েছেন যে, জেনে গেছি তাই ডাকলে ঈমানে সমস্যা হবে৷ আবার উত্তর দিয়েছেন কাইয়ুম নামে ডাকা যাবে না। ডাকলে ঈমানে সমস্যা হবে না। এটা বুঝি নি। তাই প্রশ্ন করেছিলাম। যদি একটু বলে দিতেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...