স্বামীকে আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণকারী (قَوَّام) বানিয়েছেন (সূরা আন-নিসা ৪:৩৪),
নবী করিম ﷺ বলেছেন:
"তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সর্বোত্তম আচরণ করে।"
— (তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)
স্ত্রীকে গালাগালি, অপমান, ভয় দেখানো বা হাত তোলা— এগুলো হারাম ও কবিরা গুনাহ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের মারো না; যারা স্ত্রীকে মারে তারা তোমাদের মধ্যে উত্তম নয়।"
— (আবু দাউদ, হাদিস: ২১৪৬)
অতএব, স্বামীর এই কাজ গুনাহ ও অন্যায়। বিশেষত যখন সে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দেয়, পূর্বের সম্পর্কের কথা বলে হেয় করে, তখন তা মানসিক নির্যাতন হিসেবে গণ্য হয়।
★ইসলামে স্ত্রীকে অবিচার, নির্যাতন বা অপমানের শিকার হয়ে চুপ করে থাকতে বাধ্য করা হয়নি।
তিনি চাইলে:
1. নিজের অভিভাবক বা পরিবারের কাউকে জানাতে পারেন,
2. স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা আলেম, অথবা বিশ্বস্ত কোনো শরীয়াহ বোর্ড বা কাউন্সেলর এর কাছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন,
3. এবং প্রয়োজনে কাজি বা আদালতের মাধ্যমে তালাক বা খোলা (خُلع) এর আবেদন করতে পারেন, যদি স্বামী পরিবর্তন না হয়।
আল্লাহ বলেন:
"যদি তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে না পারো, তবে সুন্দরভাবে পৃথক হয়ে যাও।"
— (সূরা আত-তালাক ৬৫:২)
★এখন স্ত্রীর করণীয়,
পরামর্শ ও সালিশ (مُصَالَحَة)
কুরআনে আল্লাহ বলেন:
"যদি তাদের মধ্যে বিরোধ আশঙ্কা করো, তবে এক পক্ষ থেকে একজন সালিশ ও অপর পক্ষ থেকে একজন সালিশ পাঠাও; তারা যদি মীমাংসা করতে চায়, আল্লাহ তাদের মধ্যে মিল ঘটাবেন।"
— (সূরা আন-নিসা ৪:৩৫)
অর্থাৎ, স্বামীর পক্ষ ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে একজন করে বিচক্ষণ, ধার্মিক সালিশকারী বসানো যেতে পারে।
এতে হয়তো সমাধান আসতে পারে — যদি স্বামী আন্তরিকভাবে সংশোধিত হতে চান।
স্বামী তওবা না করলে বা আচরণ না বদলালে
স্ত্রী শরীয়ত অনুযায়ী খোলা (বিচ্ছেদ চাওয়া) করতে পারেন।
এটি কোনো পাপ নয়; বরং আত্মসম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষার বৈধ পথ।
স্ত্রীর জন্য মানসিকভাবে করণীয়,
আল্লাহর কাছে দোআ করা: “رَبِّ أَصْلِحْ لِي فِي زَوْجِي وَأَهْلِي” (হে আমার রব, আমার স্বামী ও সংসারকে আমার জন্য সংশোধন করে দিন)।
নামাজে ও তাহাজ্জুদের সময়ে আল্লাহর কাছে সান্ত্বনা চাওয়া।