শরীয়তের বিধান হলো কোনো ব্যক্তি নির্জনে বা গোপনে কোনো অপরাধ করেছে কিংবা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে অপরাধ করেছে, আর সেটা তিনি অন্যের কাছে প্রকাশ করে দিলে,সেটি অনেক বড় আপরাধ। যদি এটা ছোট গুনাহ হয়, প্রকাশ করার ফলে এটি বড় গুনাহে রূপান্তর হয়ে যাবে।
আল্লাহ এই মুজাহের ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না। মুজাহের ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে তওবা না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করবেন না।
“আল্লাহ্ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ্ শ্রবণকারী,বিজ্ঞ”। [সূরা আন নিসা, ৪:১৪৮]
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“আমার সমগ্র উম্মাহ্ নিরাপদ, কেবল তারা ব্যতীত যারা কিনা তাদের পাপ নিয়ে দম্ভ করে বেড়ায়। তাদের কেউ যখন কোন কুকর্ম করে রাতে ঘুমাতে যায় এবং আল্লাহ্ তার পাপ গোপন রাখেন, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সে বলতে থাকে, “এই শোন, আমি না কাল রাতে এই এই (কুকর্ম) করেছি”। সে যখন ঘুমাতে যাই, আল্লাহ্ তার পাপ গোপন রাখেন, আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই আল্লাহ্ যা গোপন রেখেছিলেন তা সে লোকজনের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়”। [সহীহ আল বুখারী]
,
আরো জানুনঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-
التائب من الذنب كمن لا ذنب له
অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই।–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
উপরোক্ত গুনাহের কাজ থেকে পরিপূর্ণ ফিরে আসতে হবে।
আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
সেক্ষেত্রে নিজের বিবাহ পূর্ব গুনাহের কথা পাত্র/পাত্রিকে না জানানো কোনো গুনাহ নয়।
,
★স্বামী পূর্বে কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না। যদি নারী কে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে। তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।যেমন- স্ত্রী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?
আরো জানুনঃ