আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শায়েখ 

আমি বালেগ অবস্থায় একটি ফরজ রোজা কোনো একটি পাপের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙ্গেছিলাম।আবার একবার আল্লাহর কাছে কসম করে সেই কসম পুনরায় ভেঙ্গেছিলাম এগুলো সব অতীতের গুণাহ।এখন আমি এগুলোর কাফফারা দিতে চাই।কিন্তু আমার কাফফারা আদায়ের সাথে আরেকটি নিয়ত রয়েছে,,, রোজা রাখলে আমার কাফফারা আদায়ের পাশাপাশি আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যা দূর হবে,খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবো।এখন কথা হচ্ছে কাফফারা আদায়ের পাশাপাশি এই নিয়তটা করা কি জায়েজ হবে,এই নিয়তের পাশাপাশি কাফফারা দিলে কি সেই কাফফারা আদায় হবে

1 Answer

0 votes
by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তাই আপনাকে ৬০ টি রোযার মাধ্যমেই কাফফারা আদায় করতে হবে।  রোযার সামর্থ্য থাকাবস্থায়  ৬০ জন মিসকিনকে ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলে রোযার কাফফারা আদায় হবে না। রোযার কাফফারা হিসেবে ধারাবাহিক ৬০ টি রোযা আদায়ের ক্ষেত্রে মধ্যখানে হায়েয চলে আসলে কোনো সমস্যা হবে না বরং রোযার কাফফারা আদায় হবে।


রোজা রাখলে আমার কাফফারা আদায়ের পাশাপাশি আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যা দূর হবে,খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবো।
এমন নিয়ত আসলে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...