আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার সন্তান জন্মের ৬ মাস পর আগস্টের শেষের দিকে আমার প্রথমবার মাসিক হয়। গর্ভধারণের আগে আমার মাসিক চক্র ছিল নিয়মিত, ৩২ থেকে ৩৫ দিনের, এবং আমার হায়েজ ঠিক ১০ দিন স্থায়ী হতো। তবে আগস্ট মাসের ঠিক কোন তারিখে মাসিক শুরু হয়েছিল তা মনে নেই। pure হওয়ার প্রায় ৪ দিন ( কিছুদিন কম বেশ হতে পারে দিন বেশি হবার সম্ভাবনা বেশি) আমি stretchy discharge দেখেছি, ঠিক egg-white-like ovulation discharge-এর মতো। উপসর্গগুলোও ovulation-এর মতোই ছিল, কিন্তু তাতে খুব ছোট্ট এক ফোঁটা রক্ত ছিল একদম অল্প এবং সেটা এক ঘণ্টাও স্থায়ী হয়নি। সঠিক ভাবে বললে শুধুমাত্র একবার ক্লিন করার সময় দেখেছিলাম তাই আমি নামাজ পড়িনি এবং সতর্কতার জন্য সেটাকে মাসিক ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর আর কোনো রক্তের ফোটাদেখিনি এক সেকেন্ডের জন্য ও না আর যেমনটা গর্ভধারণের আগে আমার ovulation phase শেষ হতো, তেমনি করে ঘন cream রঙের স্রাব যায় এবং একদম শুষ্ক হয়ে যায় | মোটকথা এই রক্তের ফোটার ঘটনা বাদ দিলে মনে হয় যেন ovulation চলছিল এর প্রায় ৪ দিন ( কিছুদিন কম বেশ হতে পারে ) পর আমি স্বাভাবিক হায়েজের মতোই রক্ত দেখেছি (কালচে রঙ, দুর্গন্ধযুক্ত), যা ১০ দিন স্থায়ী হয়। এখন আমি বিভ্রান্ত  আমি কি সেই ছোট্ট স্পটটাকে মাসিকের অংশ হিসেবে ধরব, নাকি সেটাকে ovulation মনে করব? আমি দুঃখিত এমন প্রশ্ন করার জন্য, কিন্তু জানতে চাই কারণ আমার অনেক কাযা নামাজ আদায় করতে হবে

1 Answer

0 votes
by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. «الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু সেই রক্তবিন্দু দেখার পর তিনদিনের ভিতর আর কোনো রক্তস্রাব আসেনি, তাই উক্ত রক্তবিন্দু ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। পরবর্তীতে যেই ১০ দিন রক্তস্রাব গিয়েছে, সেই রক্তস্রাব হায়েয হিসেবে পরিগনিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...