হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছেঃ
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )
হযরত আলী বিন আবু তালীব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামায পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন-কোন গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। {সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২, }
★এ রাতের বর্জনীয় কাজের মধ্যে অন্যতম হলোঃ
দলবদ্ধ ইবাদতকে আবশ্যক মনে করে মসজিদে বা কোথাও একত্র হওয়া। তবে এটাকে এ রাতের বিশেষ আমল মনে না করে এমনিতেই একত্র হতে সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ
"লাইলাতুল ক্বদর উদযাপন করা বা অন্য কোন রাত উদযাপন করা, কিংবা শবে বরাত, শবে মেরাজ, ঈদে মিলাদুন্নবী ইত্যাদি উপলক্ষগুলো উদযাপন করা জায়েয নেই। কেননা এসব হচ্ছে-- নবপ্রবর্তিত বিদাত; যেগুলোর সমর্থনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে এমন কিছু উদ্ধৃত হয়নি। বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যা আমাদের শরিয়তে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত"। এ ধরণের উপলক্ষগুলো উদযাপনের জন্য অর্থ, উপঢৌকন বা চা বিতরণ করার মাধ্যম সহযোগিতা করাও জায়েয নেই। এ ধরণের উপলক্ষে খোতবা ও আলোচনা পেশ করাও জায়েয নেই। কেননা এর মাধ্যমে এ উপলক্ষগুলো উদযাপনের প্রতি সমর্থন দেয়া হয় ও উৎসাহ দেয়া হয়। বরং এগুলোর নিন্দা করা এবং এগুলোতে উপস্থিত না হওয়া ওয়াজিব।[ফাতাওয়াল লাজনাহ আদ্-দায়িমা (২/২৫৭-২৫৮)]
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এদিনে ফজরের পর মসজিদে যে তাবারক দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে,এটা যদি শবে বরাতের বিশেষ আমল বা দ্বীনের কাজ,বা আবশ্যকীয় বলে দেওয়া হয়,তাহলে তাহা নিঃসন্দেহে বিদআত হবে,যাহা বর্জনীয়।
,
এই তাবারুক গ্রহন করা যাবেনা।
,
তবে এটাকে এ রাতের বিশেষ আমল মনে না করে এমনিতেই কেহ দেয়, তাহলে তাহা গ্রহন করতে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সমস্যা নেই।
তারপরেও সতর্কতা অবলম্বন কাম্য।