আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,699 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আমি আবু তহা মুহাম্মাদ আদনান হাফিঃ এর কিছু লেকচার শুনেছি, তিনি বেশিরভাগ বয়ান দাজ্জাল ও ভবিষ্যত পৃথিবী নিয়ে করে থাকেন। তিনি সুবচনের গুণে গুণাণ্বিত, একইসাথে জেনারেল শিক্ষিত এবং মাদ্রাসা শিক্ষিত। এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালে আলোকিত জ্ঞানী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন। তাঁর বক্তব্যে তিনি যেগুলো বলেন সেগুলোতে ইমরান নজর হোসাইনের সাথে অমিলও থাকে, মিলও থাকে। যেগুলো মিল থাকে সেগুলো মাওলানা আসেম ওমর (আল কায়েদা, ভারত শাখার প্রধান), আনওয়ার আল আওলাকি,  মুফতি কাজী ইব্রাহিম প্রমুখদের সাথেও মিল থাকে, আর যেগুলো অমিল থাকে সেগুলোও ইনাদের সাথে মিল থাকে। অর্থাৎ ইমরান নজর হোসাইনের সাথে তাঁর সব কথা মেলে না, কিন্তু আসেম ওমর প্রমুখদের সাথে সব কথা মেলে। তা থেকে বোঝা যায় তিনি আসেম ওমরদের আকীদারই লোক হবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রচার করা হয় যে তিনি ইমরান নজর হোসাইনের এজেন্ট। এই ব্যাপারে আমি বুঝতে পারছি না, উনার লেকচার শোনা যাবে কিনা। উনার কথা আমার দৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত কুরআন-হাদিসের সাথে সঙ্গতিপুর্ণই মনে হয়েছে। নিচে উনার ভিডিও চ্যানেলের লিংক দিচ্ছি: https://www.youtube.com/watch?v=K4_Xza85ug0

এছাড়াও তার কিছু জনপ্রিয় ভিডিওর লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=EnjF0liDEyY&t=74s

https://www.youtube.com/watch?v=fLOzV07y-3U

কিছুদিন আগে তিনি মুফতি হারুন ইজহারের সঙ্গে সম্মিলিত প্রোগ্রাম করলেন। এইসব কারণে আমরা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছি, কারণ তাঁর ব্যাপারে  ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন  জনৈক আলেম, যেখানে তিনি আশঙ্কা করেছেন যে হয়ত উনি একদিন ফেতনার কারণ হতে পারেন, যদিও কী কারণে এই আশঙ্কা তা জানাননি বা তাঁর কোন কথায় ভুল পেয়েছেন তাও জানাননি। এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হল, ভবিষ্যতে কেউ ফিতনার কারণ হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে এখনই তার কথা শোনা ছেড়ে দেওয়া কি ইসলামে সাপোর্ট করে? আর বাস্তবে ত্বহা হাফিঃ এর লেকচার শোনা যাবে কিনা।

২। মুফতি হারুন ইজহার হাফিঃ এর ব্যাপারেও একই প্রশ্ন। কেউ কেউ তাকে খারেজি বলে থাকে। তার ব্যাপারেও আমাদের কী আকীদা হওয়া উচিত এবং তার লেকচার শোনা উচিত কিনা সেই ব্যাপারে আইওএম এর মতামত চাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উল্লিখিত দুই ব্যক্তি সম্পর্কে গোগল থেকে আমরা যা জানতে পারলাম, সেই জানার আলোকে আমরা বলতে চাচ্ছি যে, তাদের বক্তিতায় তাত্বিক আলোচনাই বেশী স্থান পায়। তারা রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেন। আপাতত দৃষ্টিতে তাদেরকে ভালই মনে হচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে তার কি হবে বা তাদের ভবিষ্যত প্লান কি সে সম্পর্কে আমরা জানিনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...