আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আস্সালামুআলাইকুম। আমাকে একটা পরিবার থেকে দুবার বিবাহের প্রস্তাব এসেছে, ২টি ভিন্ন মাধ্যম থেকেই। আমি প্রথম বারেও কয়েকবার ইস্তেখারা করেছি, এবং ২য় বার ও করছি। আমার পরিবার ছেলের চাকুরী বিষয়ে একটু কম ইন্টারেস্টেড বাকি সব কিছুই তাদের পছন্দ হয়েছে। আমি ২য় বার যখন ইস্তেখারা করলাম তখন আমি কিছু এরকম স্বপ্নে দেখেছি "" আমি একটি নেবি ব্লু কালার এর উপর সাদা lace এর জামা পড়া অবস্থায় রেডি হচ্ছি , আমাকে দেখতে আসবে maybe। আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে আমায় কেমন লাগছে। সামনে কিছু বুজুর্গ আপনজন যারা এখন মৃত তারা ছিলেন খাবার table এ আমি তাদের খাবার serve করতে যাবো এমন। জামাটি দেখতে খুব বেশি সুন্দর লাগছিলো। আমার কাছে বর্তমানে সেই জামাটি আছে। বাট স্বপ্নে ওটা বেশি সুন্দর লাগছিল। আমি যে জিজ্ঞেস করছিলাম আমাকে কেমন লাগছে তখন আমার বোন আম্মু আমার দিকে তাকিয়েই ছিল কিছুই বলে নী হয়তো। আমার ঠিক মনে পড়ছে না।সকালে উঠে আমি ইবনে সিরিন এই স্বপ্ন বাখ্যা google সার্চ করে দেখলামবাখ্যা টা হলো ''একটি মেয়ের স্বপ্নে নীল রঙটি আসন্ন ভ্রমণেরও ইঙ্গিত দিতে পারে যা তার করা সহজ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে তাকে আরও আর্থিক সুযোগ এনে দিতে পারে.সাধারণভাবে, একটি অবিবাহিত মেয়ের স্বপ্নে নীল রঙ দেখা ভবিষ্যতে তার কাছে আসতে পারে এমন মঙ্গল এবং আশী-বাদের ঘোষণা দিতে পারে।''স্বপ্নে জামাটা খুব ফোকাস করে নিচে থেকেই উপরে দেখানো হচ্ছিলো।এখন main বিষয় ছেলেটা খারাপ না হয়তো। ৫ওয়াক্ত নামাজ নাকি পড়ে জামাতে। মাঝে মাঝে ইমার্জেন্সিতে জামাত মিস যায়।তার সম্মন্ধে আমি ভালোভাবে এইটুকুই জানি। আমি আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন দ্বীনদার চাই। ভালো এখলাক ভালো, ঠান্ডা মেজাজি এই টাইপ। আমি পুরাটা ডিসিশন আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ যা আমার জন্য এনে দ্য আমি তাতে sabr এবং আল্লাহর করা সিদ্ধান্তে হিকমাত এবং হিল্ম এর সাথে মেইনটেইন করতে চাই। আমি যতও প্রস্তাব আসে ততটা প্রস্তাবেই ইস্তেখারা করি এবংহ আমার মনে হয় সবসময় ভালো স্বপ্নই দেখি। বাট শুধু একবার অন্য একটা প্রস্তাবে আমি এমন স্বপ্ন দেখেছি যে আমাকে কে যেন বলছে """আমার জন্য আরো ভালো অনেক দীনদার আসবে''এবং এরপর একজন পাঞ্জাবী পড়া লোককে যেতে দেখেছি পিছন side থেকে, চেহারা দেখি নী। আমার কী করা উচিত আমি জানি না। আমি চাই না আমার ভুল এর কারণে আমি কোনো নেয়ামত হাড়াই ফেলি বা আল্লাহ নারাজ হয়ে জায়। আমি যাতে সঠিক সিদ্ধান্তে আস্তে পারি এটাই আমার ইচ্ছা। গত২দিন আমি একদম মেন্টাললি এতোটা ভাবতে থাকি এই ব্যাপারটা নিয়ে। আমি দোয়া ও করেছি ইশার নামাযের পর যে আমার জন্য এই ছেলে ভালো হলে যেকোনো ভাবে তাড়াতাড়ি যাতে সব ঠিক হয়ে যায়। আর যদি না-ই থাকে আমি যাতে ছেলের কথা ভুলেই যাই আমার এই বিষয় নিয়ে যাতে কোনো আবেগ কাজ না করে। আল্লাহ আমার মন কে ঠিক করে দিক। আলহামদুলিল্লাহ। আমি অনেকটা হায় হুতাশ থেকেই বের হতে পেরেছি।। আমার কী করা উচিত এই সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে।?????

1 Answer

0 votes
by (688,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) 

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

ইস্তেখারাকৃত বিষয়টির ফায়সালা কিভাবে বুঝতে পারবে? কোন পদ্ধতিতে তা জানা যাবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরাম থেকে একাধিক পদ্ধতি জানা যায়।
উক্ত আমল শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবে। [তুহফাতুল আলমায়ী-২/৩৩৮, বেহেশতী জেওর]

বাকি এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে,তবে সেসব  পদ্ধতিকে রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত পদ্ধতি বলা যাবে না। বাকি একদম বাতিল পদ্ধতিও বলা ঠিক নয়। কারণ এটি জানার পদ্ধতি যেহেতু কোন দ্বীনী বিষয় নয়। বরং দুনিয়াবী বিষয়ের ফায়সালা জানতে এমনটি করা হয়ে থাকে, তাই এটির ক্ষেত্রে মানুষের অভিজ্ঞতার একটি দখল রয়েছে।
,
 কারো অভিজ্ঞতায় যদি এমন আমল করার দ্বারা ইস্তেখারাকৃত বিষয়ের ফলাফল স্পষ্ট হয়, তাহলে সেএর উপর আমল করতে পারে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। 

মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহীত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে কল্যান লাভের জন্য আসমান জমীনের সৃষ্টিকর্তার নিকট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইস্তেখারা করতে হয় বা সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়,যেন তিনি তার সিদ্ধান্তকে এমন জিনিসের উপর স্থীর করে দেন যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জন্য উপকারী হয়।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ইস্তেখারা পজিটিভ বলে মনে হচ্ছে।
আপনার পরিবার যদি রাজী থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহে আগাতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...