জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নামাজ রোযা ফরজ হয়।
★সুতরাং বালেগ, বালেগাহ হওয়ার সময়কাল থেকে প্রত্যকের জিবনের যাবতীয় নামাজ যেটাকে উমরী কাজা বলা হয়,সেটির হিসেব করে তাহা আদায় করতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ [٢٤:٥٩]
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়, [সূরা আননূর-৫৯]
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 153):
"(بلوغ الغلام بالاحتلام والإحبال والإنزال) والأصل هو الإنزال (والجارية بالاحتلام والحيض والحبل) ولم يذكر الإنزال صريحاً؛ لأنه قلما يعلم منها (فإن لم يوجد فيهما) شيء (فحتى يتم لكل منهما خمس عشرة سنةً، به يفتى) لقصر أعمار أهل زماننا".
সারমর্মঃ
মেয়েদের বালেগাহ হওয়া স্বপ্নদোষের মাধ্যমে , হায়েজ আসার মাধ্যমে, গর্ভধারণ করা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।
যদি কোনো নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে ১৫ বছর বয়স হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
ওমরি কাজা কিভাবে আদায় করবেন,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যতগুলো নামাজ এরকম ভাবে আদায় করেছেন,তার একটি হিসেব কষুন,বালেগাহ হওয়ার পর থেকে কত গুলো নামাজ আদায় করেননি,বা এমনি ভাবেই আদায় করেছেন,সেটার হিসেব কষু্ন,সেগুলো পর্যায়ক্রমে আদায় করুন। যদি সবগুলো নামাজই এমনই আদায় করে থাকেন,তাহলে বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নিয়ে হিসেবে করে সব নামাজেরই কাজা আদায় করুন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত দুটি কারনের মধ্যে প্রথম কারনঃ
আপনি প্রথম ব্যতীত অন্য রাকাতে সুরাহ ফাতিহা পড়তেননা,তো অন্য রাকাতে কি পড়তেন?
যদি সেই রাকাত গুলোতে অন্য কোনো সুরা আপনি না পড়ে একদম চুপ থেকে থাকেন,তাহলে আপনার নামাজ হয়নি।
,
কিন্তু সেই রাকাত গুলোতে যদি অন্য কোনো সুরা পড়ে থাকেন,তাহলে আপনার নামাজ ওয়াক্তের মধ্যে পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিলো।
উক্ত নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর তা পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব থাকে কিনা,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
সতর্কতামূলক আদায় করে নেওয়াই ভালো।
,
যদি আদায় না করা হয়,সমস্যা হবেনা।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ২য় কারনঃ
আপনি রাকাতের সংখ্যা ভুলভাবে গননা করতেন,এটি ব্যখ্যা সাপেক্ষ বিষয়।
।
তারপরেও আপনি সতর্কতামূলক সব নামাজই আবার আদায় করে নিবেন।