আসসালামু আলাইকুম। আমি মেডিকেল এ পড়ি। আমাদের প্রতি বছর একটা প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়। যেটা তে একবার ফেইল করলে ৬ মাস পরে আবার দিতে হয়। আমার এক বন্ধু সে ৩ বছর ধরে ৩ বার এমন ফেইল করেছে। কিছুদিন আগেও ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা তে ফেইল করেছে। সে এটা নিয়ে অনেক কষ্ট পাইছে। সে অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার পরেও যখন ফেইল আসলো তখন সে বললো যে, " আল্লাহ শুধু আমাকেই দেখে, আল্লাহ শুধু আমার সাথেই এমন করে, বার বার ফেইল করতে আমার আর ভালো লাগে না। আল্লাহ প্রতিবার আমার সাথে এমন করে, আমাকে ফেইল করায় "। পরে আমি তাকে বললাম যে, এভাবে বলা ঠিক হয়নি তোমার। তখন সে একটু পরে বললো ""সে মনের কষ্ট থেকে বলে ফেলেছে, তার আফসোস হয়, মানুষ আরো কম পড়েও পাশ করে যায়। আর সে ফেইল করে। পরে আবার বলেছে সাথে সাথেই আল্লাহ হয়তো চায় সে আরো ভালো করে পড়বে, তাই ফেইল দিছে"।
১) আমার বন্ধু যে আল্লাহ কে দোষ দিল, আল্লাহ শুধু তাকেই দেখে, তার সাথেই এমন করে এভাবে বলার কারনে তার কি ঈমান চলে যাবে?
২) অই সময় ই তাকে আমি একদিন বলতেছিলাম যে, তুমি নামাজ পড়। আল্লাহর কাছে বেশি করে দোয়া কর।।আজকে কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়ছো? এগুলা বার বার তাকে বলতেছিলাম। বলার পরে সে বললো " দেখ আমার বিরক্ত লাগতেছে". আমি বললাম আস্তাগফিরুল্লাহ তুমি এটা কি বললা? নামাজ এর কথা শুনলে কি কারোর বিরক্ত লাগে? তখন সে বললো "নামাজ এর কথা শুনে না। আমার সব মিলায়া বিরক্ত লাগতেছে ". এখন তার কি ঈমান ঠিক আছে?
৩) আমার আল্লাহ কে নিয়ে কোনো অভিযোগ নাই। আমি শুধু আমার বন্ধুর হয়ে প্রশ্ন করার জন্য এভাবে বলেছি। আমার কি ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?