আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ ,
জীবনে লক্ষ্য বিহীন তো চলা যায় না, কিন্তু আমার বিষয়টা লক্ষ্য বিহীনই চলছে,   আমি শিক্ষকতা করতে চাই ইন শা আল্লাহ,
কুরআন টিচার
এটা পূরণ করবো কিভাবে ধাপে ধাপে,,  ইন‌শা আল্লাহ, আর কোথায় পড়াশোনা করবো এ বিষয়ে , কিভাবে মেহনত করবো, দোয়া রোনাজারি,  আমি আপসেট, যতবারই লক্ষ্যের বিষয়ে আসি হতাশ হয়ে যায়, মস্তিষ্ক কাজ করে না কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারি না।

একটা ইলমী কোর্সে আছি।    পড়া জমে আছে অনেক,  না পারি ঠিক মতো পরিকল্পনা, না ঠিক ঠাক ফোকাস , না দোয়া রোনাজারি , না অলসতা কাটিয়ে উঠার মতো উদ্যমী মনোভাব, আল্লাহ সহজ করুন।   উস্তাদ এই কোর্সটি আমি ছাড়তে চাই না , সঠিক পরিকল্পনাও করতে পারিনা, পরিকল্পনা করলেও এগোতে পারি না , নতুন পড়া আর পুরানো গুলো কিভাবে আয়ত্ত করবো, মাথা পুরা হ্যাং হয়ে থাকে।
দয়া করে আমাকে উত্তম নসিহা দিবেন উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
ago by (682,860 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআন আল্লাহর কালাম। নবী ও রাসূল হিসেবে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে কয়টি মৌলিক দায়িত্ব ছিল, সেসবের মধ্যে অন্যতম- মানুষকে কুরআনের শিক্ষা প্রদান করা। পবিত্র কুরআনের ভাষ্য-
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ اِذْ بَعَثَ فِیْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْ اَنْفُسِهِمْ یَتْلُوْا عَلَیْهِمْ اٰیٰتِهٖ وَ یُزَكِّیْهِمْ وَ یُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَ الْحِكْمَةَ .
আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছেন, যে তাঁর আয়াতসমূহ তাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়।(সূরা আলে ইমরান -১৬৪)

নবীর পরবর্তীতে যখন কেউ তাঁর দায়িত্ব আঞ্জাম দেবে, সে তো শ্রেষ্ঠ হবেই। উপরোক্ত হাদীসের বক্তব্যে কোনো অস্পষ্টতা নেই- যিনি প্রথমে কুরআনের শিক্ষার্থী হয়েছেন, এরপর কুরআনের শিক্ষক হয়েছেন, তিনি শ্রেষ্ঠ মানুষ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَمَه.
তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে নিজে কুরআন শেখে এবং অন্যকে তা শেখায়।(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০২৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
কুরআন অন্যজনকে শিখাতে হলে বা কুরআন তিলাওয়াত শিখানোর শিক্ষক হতে হলে আগে নিজে নির্ভুল তিলাওয়াত শিখতে হবে।
প্রত্যেকটি হরফের মাখরাজ জানতে হবে,তাহা শুদ্ধতার সহিত উচ্চারণ করতে হবে।
মদ গুন্নাহ সহ তাজবীদের যাবতীয় কায়দা ভালোভাবে জানতে হবে ও তাহা সঠিক ভাবে ফিট করতে হবে।

আপনি যদি উপরোক্ত গুণ অর্জন করতে পারেন,সেক্ষেত্রে আপনি কুরআন তিলাওয়াত শিখানোর শিক্ষক হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...