আমার আম্মু-আব্বুর মাঝে সেদিন খুব বড় একটা ঝগড়া হয় কিছুদিন আগে। বলে রাখা ভালো, তারা বয়স্ক, বয়স ৫০-৬০ এমন। আমরা ছেলে মেয়েরা সবাই-ই প্রাপ্তবয়স্ক। সেদিন এর ঘটনার সামারী বলতে গেলে, আমার আব্বুই প্রথমে ভুলটা করে, সে আম্মুর অবদানগুলোকে অস্বীকার করে। অস্বীকার বলতে গেলে, তার কথা তাকে আল্লাহ সব দিয়েছেন, আম্মুর কথা হলো সব তো আল্লাহই দিসেন, উসিলা তো মানুষই হয়। আমি আমার পরিবার তাকে অনেক সাহায্য করছি, সে কিভাবে সেইসব ভুলতে পারে?
তো যাইহোক, কথা বাড়াবাড়ি হতে হতে একসময় আব্বু চেয়ার মারে আম্মুকে লক্ষ্য করে, তখন আম্মু চায় বাসা থেকে বের হয়ে যেতে,আমরা আটকাতে চাইলে তখন আব্বু বলতে থাকে, যেতে দিয়ে দে, যা যা, কোথায় কি করবে?
এখন, আমার আম্মু-আব্বু একই বাসায় থাকলেও সম্পূর্ণ আলাদা রুমে থাকেন। আম্মু কথা বলেন না বাবার সাথে, দেখাও দিতে চান না। তার কথা হলো বাবাই তাকে বলেছেন চলে যেতে এখন সে যদি চলে যায় তার কোনো গুনাহ হবে না। বা এখন যেভাবে আছে সেভাবে থাকলে গুনাহ হবে না। আমার প্রশ্ন হলো, আসলেই কি হবে না?
বলা বাহুল্য, আমার আম্মু প্রথম থেকেই অনেক সেক্রিফাইজ করে এসেছেন, আমার বাবা ব্যবসা করতেন সেটার পুঁজিও আমার মা দিয়েছেন (কারণ আব্বু তাট আগে হাত তুলে ছিল দেয়নি বলে) । দুজনই কষ্ট করেছেন। তবে আমার বাবা সংসার সম্পর্কে উদাসীন, আম্মুই সব কিছুর খেয়াল রাখতেন। এছাড়া,আমার বাবা বিয়ের পরে অন্য মহিলাদের সাথে খারাপ কাজ করতে চাওয়ার মতো গর্হিত কাজও করেছিলো... এসব কিছুই সহ্য করে থেকেছে আমার আম্মু। যদিও-বা আমার কথাগুলো হয়তো একপাক্ষিক শোনবে কিন্তু আমার বাবা একজন পুরুষের কোনো কাজই করতেন না। বাজার করা, ঘরবাড়ি দেখা শোনা,বিল্ডিং এর কাজ দেখশোনা, বাচ্চাদের আনা-নেওয়া সব কিছু আম্মু করতেন। আব্বু ব্যবসা করতেন। এ-ই। এছাড়া, স্ত্রীর যত্ন নেওয়ার প্রতি তো সব সময়ই উদাসীন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একবার আমার আম্মু অসুস্থ হওয়ার পর ডক্টর তাকে ঔষধ দিলেও আব্বু সেগুলো আনেনি টাকা খরচ হবে দেখে। এখন আম্মুর দোষ হলো, একটাই যেটা বেশিরভাগ মহিলাদের থাকে অল্পতেই রেগে যান, চিল্লাচিল্লি করেন। এসবই.... আমি জানি না এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব কি-না আফওয়ান। ভুল সমূহ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুরোধ রইলো উস্তদ।