আসসালামু আলাইকুম। আমার আর আমার স্বামীর অতীতে ১তালাক হয়েছে।তাই অতীতের কথা ভেবেই গতকাল রাতে আমার স্বামীকে জিগ্যেস করি যে আল্লাহ মাফ করুক আমাদের কখনো ৩তালাক হয়ে গেলে তুমি কি করবা আলাদা হয়ে যাবো আমরা?আমার স্বামী উত্তরে বললো আলাদা হবো কেন হারাম হবে না আল্লাহর কাছে মাফ চাইবো আল্লাহ চাইলে ত সবই সম্ভব হারাম হিসেবে গণ্য না করে হালাল ই ধরতে পারে। ।আল্লাহ চাইলে ত সব ই পারে তিনি দয়াবান বুঝবে।তার বিশ্বাস ছিলো এরকম।পরে আমি বললাম হারাম মানে হারাম জেনে শুনে হারাম সংসার করবা আবার আল্লাহ হারামকে হালাল করবে এমন বিশ্বাস ত ইমান চলে যায়। আর ইমান নষ্ট হলে স্ত্রী ও তালাক হয়।তুমি তওবা করো। পরে সে রেগে গেসে স্ত্রী তালাকের কথা শুনে আরও সিরিয়াস হয়ে গিয়েছে।বলে যে তুমি শুধু শুধু আমাকে এসব প্রশ্ন ক করো কেন আমি ত আর তোমাকে তালাক দিব না কখনো যে চিরতরে হারাম হব।
আজকে সকালে ফযরের নামাযের পরে আমি জিগ্যেস করি তওবা করসে কিনা বললো রাতে করেছে মনে মনে।তারপর আমি আবার তাকে শিউর ভাবে জানার জন্য জিগ্যেস করলাম যে তুমি কি এই বিশ্বাস থেকে কথাটা বলেছো যে সম্পর্ক হারাম হয়ে গেলেও আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে বেশি বেশি চাইলে আল্লাহ হয়ত হারামের গুনাহ দিবেন না হালাল ই রাখবেন। উত্তরে সে বলে হুম।আমি বললাম ভেবে বলো এসব বললে বিশ্বাস করলে কিন্তু ইমান নষ্ট হয়।বলে আমি ত আর জানতাম না ইমান নষ্ট হয় জানলে ত বলতাম না।সকালে সে রাতের স্বীকারোক্তি টাই দিয়েছে নতুন করে বলেনি যে হারাম হবে না।
আরেকটি বিষয় আমার স্বামী আসলে জানত না বুঝতে পারেনি যে কথা গুলো বললে ইমান নষ্ট হবে এবং স্ত্রী ও তালাক হবে।ইমান নষ্ট হবে এই ভয় এর থেকে বেশি ভয় পেয়েছে ইমান নষ্ট হলে তালাক হয়ে যায়।কারণ ইমান নষ্ট হলে তওবা করে ফিরে আসা যায়।কিন্তু তালাক ত পতিত হয়েই যায়।মানে সে ইমান নষ্ট হয় এতেও অনুতপ্ত কিন্তু এর চেয়ে তালাক হবে তাই আরও বেশি অনুতপ্ত বা ভয় পেয়েছে।
প্রশ্ন-১)সে না জেনে বুঝে এমন কুফরি কথা বলেছে সত্যি।কিন্তু সে সব জানার বুঝার পর ইমান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকেও তালাক হওয়ার ভয় টা বেশি পেয়েছে।এতে কি আল্লাহ তার অনুতপ্ত হওয়া কবুল করবে?আবার এমন ও না যে ইমান নষ্ট হলে তার কিছু যায় আসেনা।এটাও সে চায়না ইমান নষ্ট হোক।কিন্তু ভয় বেশি তালাক নিয়ে।
প্রশ্ন-২? এসব বিশ্বাস বা বলার পরিনতি এমন হয় আগে জানলে বুঝলে এগুলো বলত না। না জেনে বুঝে এমন কুফরি কথা বলার কারণে কি ইমান নষ্ট হবে?আমি তালাক হয়ে যাবো?
প্রশ্ন-৩ সকালে পুনরায় জিজ্ঞেস করায় সে রাতের স্বীকারোক্তি টাই দেয়াতে সমস্যা হবে নতুন করে?মানে রাতে ত না জেনে বুঝে বলেছে আর সকালে আমি আবার জিগ্যেস করাতে রাতে কথাটা কিভাবে বলেছে তা ব্যখ্যা করেছে।