আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পরিবার কে; না; জানাই; আমি বিয়ে করি। তারপর আপনাদের পরামর্শে আমি তালাক নি যেটা শরীয়ত সম্মত ছিল। আমি তালাক নেয়ার ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে এই আমার বিয়ে ফ্যামিলি গত ভাবে মোবাইল এ একজন এর সাথেও দেওয়া হয়। আমার পরিবার জানে না এই বিষয়ে। এতদিন আমি জানতাম যে এই বিয়ে জায়েজ হয়নি ।কিন্তু হুট করে মাথায় আসলো আমার আগের স্বামী অনেক কেনেয়া বাক্য বলে তবে যখন এ বলতাম সে বলতো আমি নিয়ত নিয়ে বলি নাই । যেমন , রাগের মাথায় ঝগড়ার সময় বলসে যাও বিয়ে করো ফ্যামিলি আর কথা মত। আরেকবার ওর কথা না শুনাতে আমাকে বলে এখন এ আসো বস আমি বলে দেই তুমি চলে যাও। তোমার সাথে আমার হবে না। ঝগড়ার সময় অনেক কথা বলসে এখন এইসব এ নিয়ত আসে টা বুঝায় না? এখন যদি ঐ কথার াড়া আজ তালাক হয়ে তাহলে আরো আগে তালাক হয়সে ইদ্দত ও শেষ না? তাহলে আমার এই হাজবেন্ড কি জায়েজ। ওইদিন ওনার বর্তমান অনি আমাকে একটা বিষয় নিয়ে বুঝাইতে গিয়ে বলে তোমার হাজবেন্ড তোমাকে ছেড়ে দিসে? তোমাকে আমি তালাক দিলে তারপর এটা করতে পারব। এখন কি এই টা তালাক হিসেবে কাউন্ট হবে? আমি ওয়াসওয়াসা আর রুগী যার কারণে ওনার কথা পুরাটা মনে নাই আর ভয় ও বেশি লাগছে।আর আমার বর্তমান হাজবেন্ড যদি বুঝানোর জন্য বলে ,
1। আমি ডিভোর্সে দিলে তাহলে এটা হবে

2, আমি আপনাকে দিসি? এটা প্রশ্ন সুচক ছিল তাহলে।

এখন আসলে কি আমার 2 য় বিয়ে হয়েছে? আর তালাক ও কি হয়েছে ।

1 Answer

0 votes
ago by (679,740 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইদ্দত একটি ওয়াজিব বিধান। এটি লঙ্ঘন করা কবিরা গুনাহ। 

স্বামী যেখানেই থাক, যদি সে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর জন্য ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া উসমানী ২/৪৫১)

ইদ্দত শুরু হয়, তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তিন হায়েয পরিমাণ। 
তিন হায়েয শেষ হওয়ার আগে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে না। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ

আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)

وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ [٢:٢٣٤] 

আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِي أَنفُسِكُمْ ۚ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَن تَقُولُوا قَوْلًا مَّعْرُوفًا ۚ وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ [٢:٢٣٥] 

আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই, আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে। কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না। অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্য্যশীল। {সূরা বাকারা-২৩৪-২৩৫}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দুটি সমস্যা হয়েছে।

এক, ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার আগেই আপনি বিবাহ করেছেন।

দুই, আপনার ২য় বিবাহ মোবাইলের মাধ্যমে হয়েছে।

সুতরাং আপনার বিবাহ কোনোক্রমেই শুদ্ধ হয়নি। আপনাদের এখনকার ঘর সংসার যেনার অন্তর্ভুক্ত। 

সুতরাং পুনরায় দ্রুত শরীয়তের বিধান অনুসারে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

আরো জানুনঃ- 

(উল্লেখ্য , শুধুমাত্র আপনার স্বামী আপনাকে আগেই তালাক দিয়েছিলো,এধরণের সন্দেহের ভিত্তিতে আগেই আপনার ইদ্দতকাল শেষ হয়েছে,ধরে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।)

আরো বিস্তারিত জানার থাকলে সেক্ষেত্রে নিকটতম কোনো মাদ্রাসার দারুল ইফতায় গিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...