আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
মেহেরিমার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।  এরপর মেহেরিমার মায়ের অন্যত্র বিবাহ হয়। সেখানে মেহেরিমার মায়ের একটি ছেলে সন্তান হয়।


প্রশ্ন: ১/  মেহেরিমার মায়ের যার সাথে বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ মেহেরিমার সৎ বাবা কি মাহারাম?


২/ মেহেরিমার মায়ের ২য় বিয়ের পর যে ছেলে সন্তানটি হয়, সে তো মেহেরিমার সৎ ভাই,। এখন এই সৎ ভাই কি মাহারাম?


৩/ মেহেরিমার সৎ মায়ের সাথে কি মেহেরিমার স্বামীর পর্দা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (677,700 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/29997/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সৎ বাবার সাথে নিজ মায়ের যদি সহবাস বা স্ত্রী সুলভ কাজ হয়ে থাকে,তাহলে তিনি মাহরামের অন্তর্ভুক্ত হবেন। 
এক্ষেত্রে তাকে বিবাহ করা জায়েজ নেই,তাই তার সামনে পর্দা ফরজ নয়।
চেহারা খোলা অবস্থায় তার সামনে আসা যাবে।
,
মাহরামদের সামনে যেসব অঙ্গ খোলা রাখা যাবে,সৎ বাবার সামনেও সেসব অঙ্গ খোলা রাখা যাবে।
মাহরামদের সামনে মহিলাদের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা,ঘাড় গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩২}

আরো জানুনঃ 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ২৩

حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّہٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّہٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾ 

অনুবাদঃ 

তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা এবং মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইঝি, ভাগিনী, দুধ মা, দুধ বোন, শ্বাশুড়ী, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে, কিন্তু যদি তাদের সাথে তোমরা সহবাস না করে থাক, তবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের প্রতি গুনাহ নেই এবং (তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী এবং এক সঙ্গে দু’ বোনকে (বিবাহ বন্ধনে) রাখা, পূর্বে যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়ালু। 

(সুরা নিসা ২৩)

کما فی أحكام القرآن للجصاص:
أن الربائب لا يحرمن بالعقد على الأم حتى يدخل بها أو يكون منه ما يوجب التحريم من اللمس والنظر على على ما بيناه فيما سلف هو نص التنزيل في قوله تعالى فإن لم تكونوا دخلتم بهن فلا جناح عليكم۔
(ج:3/69)
সারমর্মঃ
তত্তাবধানে থাকা মেয়ে তার মাকে বিবাহ করার দ্বারা যতক্ষন পর্যন্ত তার মায়ের সাথে সহবাস বা যাহা হুরমত সাব্যস্ত করে এমন কাজ করার আগ পর্যন্ত  হারাম হবেনা।

کما فی بدائع الصنائع:
قال عز وجل {وربائبكم اللاتي في حجوركم من نسائكم اللاتي دخلتم بهن فإن لم تكونوا دخلتم بهن فلا جناح عليكم} [النساء: 23] … ولم يقم الدليل على حرمة الربيبة قبل الدخول بالأم فلا تثبت الحرمة۔
(ج:2/259دارالكتب العلمية)
সারমর্মঃ-
উক্ত আয়াত থেকে তত্ত্বাবধানে থাকা মেয়েকে তার মায়ের সাথে সহবাসের আগ পর্যন্ত হারাম হওয়ার উপর দলিল পাওয়া যায়না।
তাই তার মায়ের সাথে সহবাসের আগ পর্যন্ত সেই মেয়ে হারাম হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে মেহেরিমার মায়ের যার সাথে বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ মেহেরিমার সৎ বাবা  মেহেরিমার মাহরাম।

(০২) 
মেহেরিমার মায়ের ২য় বিয়ের পর যে ছেলে সন্তানটি মেহেরিমার মায়ের গর্ভ হতে হয়, সে মেহেরিমার সৎ ভাই। এই সৎ ভাই মেহেরিমার মাহারাম।

(০৩) 
মেহেরিমার বাবা যদি আরেকটি বিবাহ করে,সেক্ষেত্রে মেহেরিমার সৎ মায়ের সাথে মেহেরিমার স্বামীর পর্দা করতে হবে।
কেননা সে মেহেরিমার জন্মদাতা মা নয়।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...