আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমি খুব পেরেশানির মধ্যে আছি। দয়া করে আমার উত্তরটা তাড়াতাড়ি দিবেন।
আমি কোনো এক কারণে কাবিন নামার ১৮ নং ধারা পড়ি এবং জানতে পারি সেখানে আমাকে তালাকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দুটি শর্তে - ১.স্বামী ভরণপোষণ না দিলে বা ২.মনের মিল না হলে। এটা দেখে আমি একটু ভরকে যাই এবং ভয় পাই যে হায় আল্লাহ! আমি যদি কখনো মুখ ফসকে এমনটা বলে ফেলি! আলহামদুলিল্লাহ আমার স্বামী আমাকে ভরণপোষণ দেয় এবং আমাদের মনের মিলও হয়েছে। টুকিটাকি মনোমালিন্য তো সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই হয়। এইখানে মনের অমিল বলতে আসলে কতটুকু অমিল বুঝানো হয়েছে এটা নিয়েও আমার ভয় লাগতে শুরু করে। তারপর আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি কাবিন নামায় এই ক্ষমতা যে আমাকে দেওয়া হয়েছে তুমি জানতে? সে বলে যে, না সে এ ব্যাপারে কিছু জানেনা। আমি জানতে চাই তোমাকে বলে নি কাজী এই ব্যাপারে কিছু? সে বলে যে না, তাকে কিছু বলা হয় নাই। এরপর আমি বলি যে কিন্তু এখানে তো আমাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এরপর আমার স্বামী চুপ থাকে আর কিছু বলে নাই।
প্রশ্ন ১: এখানে আমার স্বামী শুরুতে বিষয়টা জানতোনা বললেও আমি যখন জানাই যে এমনটা এখানে লিখা আছে তখন সে চুপ থাকার কারণে কি আমার উপর এই ক্ষমতা অর্পিত হয়ে যাবে? মানে যদিও সে জানতো না কিন্তু জানার পরে যেহেতু সে চুপ ছিলো।
আমি এরপর বেশ কয়েকবার তালাকের ব্যাপারে ওয়াসওয়াসার মধ্যে পড়েছি। মনে মনে তালাক নেওয়ার জন্য যে কথা বলতে হয় (নারীদের তালাক নিতে গেলে কি বলতে হয় সেটা আমি জানি, বললে ওয়াসওয়াসা হবে তাই এখানে বলছিনা) সেই কথা প্রায়ই উদিত হয় কিন্তু আমি পরে কনফিউজড হয়ে যাই এটা কি মনে মনে বলেছি নাকি মুখে বলেছি।
প্রশ্ন ২: আমি এই যে কনফিউজড যে অমন কথা মুখে বলেছিলাম কিনা বা বলে থাকলে কি আমার উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে?
এরপর আমি আমার স্বামীকে আবারো এই ব্যাপারে বুঝিয়ে বলি যে এটার কারণে আমার ওয়াসওয়াসা হচ্ছে। তখন সে বলে যে "এই ক্ষমতা শুধু আমার। এই ক্ষমতা তোমাকে কখনো আমি দেইনি।"
প্রশ্ন ৩: আমার উপর ওই ক্ষমতা অর্পিত হয়ে থাকলে স্বামীর এই কথা কি আমার ওই ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট? নাকি অন্যভাবে কিছু বলতে হবে? তোমার থেকে ওই ক্ষমতা ফিরিয়ে নিলাম জাতীয় কিছু বলতে হবে কি? নাকি অন্য কোনো কিছু করতে হবে এই ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য?

প্রশ্ন ৪: এই ক্ষমতা স্ত্রী কে দেওয়া হলেও কি সে কেবল মৌখিকভাবে তালাক নিয়ে নিতে পারে? নাকি এখানে সাক্ষীর প্রয়োজন হয়? বা অন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয়? যেহেতু শর্তের উল্লেখ আছে।
প্লীজ শায়েখ আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আমাকে পেরেশানী থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (709,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ- স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/52353


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাক প্রদান একমাত্র স্বামীর অধিকার। স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাক দিতে পারেনা।স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকে, কাবিন নামায় এমনি এমনি লিখা থাকলে স্ত্রী কখনো (দিয়ানাতান) তালাকের অধিকার পাবে না। এমতাবস্থায় স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিলে সেই তালাক কার্যকর হবে না। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হবে না। যেহেতু প্রশ্নের বিবরণমতে স্ত্রী তালাকের অধিকারই পাবে না, তাই পরবর্তী যতগুলো প্রশ্ন লিখা হয়েছে, সেগুলোর জবাব দেয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...