আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার ২বান্ধবীকে এর আগে আমি ইসলারেলি পণ্য কিনতে মানা করেছিলাম। তাদের বুঝিয়েছিলাম কেন এটা কিনা উচিত হবে না মুসলিম হিসেবে আমাদের। কিন্তু তারপরেও কিছুদিন আগে আমার এক বান্ধবী ইসরায়েলি প্রোডাক্ট কিনে এবং সেখানে আমি তাকে কয়েকবার মানা করা সত্ত্বেও সে কিনে। আমি সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ি। সে আমার রুমমেট। সে সাধারণভাবে অনেক ভালো চরিত্রের একটা মেয়ে, কিন্তু সে নামাজ কালাম পড়ে না, কুরআন পড়তে পারেনা, দ্বীন এর জ্ঞান খুবই কম তার। সে মনে করে নামাজ না পড়লেও অন্যদের চেয়ে সে অনেক ভালো যেহুতু সে গীবত করে না, ছেলেদের সাথে অবাধে মিশে না, অন্যান্য খারাপ গুণ নেই তার( গীবত এর উদ্দেশ্যে না, সঠিক মাসআলা জানার উদ্দেশ্যে তার ব্যাপারে এটুকু জানাচ্ছি) । স্বভাবতই ঈমানী গায়রত এ আমার বিষয়টা খুব হানা দেয় এবং সেদিনই ছুটিতে বাসায় আসার পর তাকে আমি মেসেজ দিয়ে বলি যে " মুসলিম হিসেবে এটা করা উচিত হয়নি। আর এখানে ইসলাম না আনলেও মানবতার দিক বিবেচনা করলেও ঘৃণা থেকে তাদের পণ্য কেনার কথা না। কোনো বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারেনা।" আর আমি কষ্টে বিষয়টা একটু কঠোরভাবে বলে ফেলি। এটাতে সে অনেক কষ্ট পায় আর বলে আমি যেন তাকে ছেড়ে দেই তার সাথে না মিশি। আমি এরপর আরও ভালোভাবে বুঝিয়ে বলি এবং ও কষ্ট পেয়েছে এটার জন্য ক্ষমাও চাই। কিন্তু সে আমার মেসেজ আর দেখেনা। পরে অনেকবার মেসেজ দেই তাও দেখেনা। এরপর ফোনে এবার মেসেজ দিয়ে সরি বলি আর বুঝিয়েও বলি আমি কেন নিষেধ করেছি। সে আমার সাথে কোনরকম কথা বলছে না। কিন্তু ছুটি শেষে আবার আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে হবে, সামনে ফাইনাল পরীক্ষাও আছে। সে আমার রুমমেট। একসাথে সবসময় থাকা লাগবে। এখন আমার করণীয় কী? তাকে কি ভালোভাবে আবার বলে নত হয়ে মানাবো, সরি বলব?? নাকি আমি যা করেছি ঠিক আছে? আমি শুধু চাই ইসলাম যেন আমার হাতে অন্য করো কাছে ছোট না হয়। আমি অনেক শঙ্কিত সে যে কষ্ট পেয়েছে এটাতে আমার কতটা পাপ হবে আর আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন কি?
অগ্রিম জাজাকুমুল্লাহ ।