আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। উস্তাজ আমি একজন মেয়ে,অবিবাহিত।আমার বয়স ২৪ এর কাছাকাছি,অনার্স ফাইনাল ইয়ারের এক্সাম দিয়েছি।

আমার বিবাহের জন্য একটি প্রস্তাব এসেছে। পাত্র কামিল পাস এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আল কুরআন এবং ইসলামিক স্টাডিস এ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে।এখন একটি আলিম মাদ্রাসায় সহকারি মৌলবি হিসেবে চাকরি করছে (যেখানে ছেলে মেয়ে একসাথে পড়ানো হয়)।আর্থিক অবস্হা, সামাজিক অবস্হা আমাদের সাথে মিলে।পাত্র পক্ষের প্রায় সবাই মাদ্রাসা শিক্ষিত আর আমরা জেনারেল লাইনের।আমার উচ্চতা ৫ ফুট ২.৫ আর পাত্রের ৫ ফুট ৪।এই প্রস্তাব টি আরো একবার এসেছে আমার আর আমার আব্বুর সম্মতি ছিল।কিন্তু পরিবারের  অন্যান্য সদস্যদের পাত্র পছন্দ হয়নি বিধায় বাদ দিয়ে দেয়া হয়।এখন পাত্রপক্ষ আবার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ।

 পাত্র যে মাদ্রাসায় চাকরি করে সেখানে সহশিক্ষা আছে এটি একটি বিষয় আবার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য রাজি না এখানে এটি আরেকটি বিষয়।এখন কি সিদ্ধান্ত নিব উস্তাজ যদি একটু পরামর্শ দিতেন অনেক উপকৃত হতাম ইং শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
ago by (707,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যতদিন না মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে ততদিন আপনি ইস্তেখারা করবেন। পরিবার ও মাতাপিতার সম্মতি নিয়ে সামনে অগ্রসর হবেন। প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় পাত্র যদি সহশিক্ষা অবস্থায় নজর হেফাজত সহ বিপরীত লিঙ্গ থেকে দূরে থাকেন ও থাকবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ হন এবং এরচেয়ে ভালো ও দ্বীনি পরিবেশের কোনো চাকুরী পেলে সেটা গ্রহণ করবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ হন , তাহলে উনার প্রস্তাবকে গ্রহণ করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...