আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
একদা স্বামীর সাথে ঝগড়া হয় অতঃপর স্বামী নামাজের জন্য তাগিদ দিলে আমি বলি আমি কোনোদিনই নামাজ পরব না আমি কাফের তখন স্বামী আমাকে একটু তাচ্ছিল্য করে ইবাদত নিয়ে যে তুমি তো কিছুই ঠিকমতো কর না , নামাজও না কুরাআনও না তোমাকে দিয়ে কি হবে, তখন আমি আবারো বলি আমি তো কাফের (তখন কাফের কথাটা বলার সময় মনে মনে একবার ভেবেছিলাম এসব তো খারাপ কেন বলতেছি থাক পরে তবা করে নিব) এরপর আমি আরও বলি কারণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না নিজেকে বলি যে ইসলাম ধর্ম এতো কঠিন হলে আমার কিছু করার নাই আমি চেষ্টা তো করি মাঝে মাঝে তবে নিয়মিত পারি না কি করব তোমার কথা শুনলে মনে হয় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়ে যাই এটাই ভালো (কথাগুলো বলার সময় আমার মনে আসলেই খারাপ নিয়ত ছিল মানে ধর্ম ত্যাগ করা নিয়ে ) যাই হোক এরপর আমি তবা করি নি বা কালেমা পরি নি । অতঃপর এরপরের দিন আমার স্বামী আমাকে তালাক দেন। আমি ২ টি জায়গা থেকে ফতোয়া নিয়েছি, একজন বলছে এসব কথা বলার দ্বারা আমি কাফের হয়ে গিয়েছি তাই বিবাহ বাতিল তাই পরবর্তীতে দেওয়া তালাক কার্যকর হবেই না বরং বিবাহ নতুন করে করা লাগবে। অন্যজন বলছে এসব বলার জন্য আমার আমি কাফের স্যাবস্ত হব না বিবাহ বাতিল হয়নি তাই তালাক কার্যকর হবে তবে নতুন করে তবা করে কালেমা পড়া উচিত। এখন আমি বুঝতে পারছি না কোন ফাতয়া আমল করব যেহেতু ২ টি মত আমাকে একটা সমাধান দিবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
(বিঃদ্রঃ তালাক দেওয়ার ২ দিন পর আমি কালেমা পরে নেই তওবা করি )