আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমার নানী একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধ মহিলা, উনার স্বামী ও কোনো ছেলে সন্তান নাই। এখন উনার ৫লাখ এর মতো কিছু টাকা ছিলো, যেহেতু উনার রোজগার করার কেউ নাহ থাকায় এখন উনি ঐ টাকা গুলো ব্যাংকে রেখে,প্রত্যেক মাসে লাভ খাচ্ছে ৪০০০ টাকার মতো। এখন এটা তো জায়েজ নাহ, ব্যাংকের সুদ খাওয়া। এমতাবস্থায় তিনি কী করবেন তার তো কোনো উপায় নাহ থাকায় তিনি ব্যাংকে এভাবে টাকা রেখে খাচ্ছেন, যদি উনি এতদিন ৫লাখ টাকা খেতো তাহলে হয়তো এতদিনে শেষ হয়ে যেতো। এখন এভাবে খাওয়া কী জায়েজ আছে? আর এভাবে যদি না খাওয়া যায় তাহলে তার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (716,940 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাংলাদেশে দুই ধরণের ব্যাংক রয়েছে।(ক) সাধারণ ব্যাংক (খ) ইসলামী ব্যাংক বা ইসলামি ব্যাংকিং শাখা। যেখানে হালাল হারাম যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শরীয়া বোর্ড সক্রিয় রয়েছে। 

সাধারণ ব্যাংক সমূহে প্রচলিত ডিপিএস, এফডিআর  হারাম এবং পরিত্যাজ্য। কেননা এখানে স্পষ্টত সুদ দেয়া হয়ে থাকে। 

তবে ইসলামী ব্যাংক সমূহের ডিপিএস বা এফডিআর জায়েয কি না? বিষয়টা ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য...

যদি কোনো ইসলামী ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েযই হবে। যেমন বহির্বিশ্বের কিছু ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়,যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে।
যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে,ডিপিএস বা এফডিআর এমন হতে হবে যে, যে যেই মেয়াদের জন্য ডিপিএস বা এফডিআর করা হবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট  হতে পারবে না। এবং লাভক্ষতিতে মুদারাবা ব্যবসার আদলে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয় শরীক থাকতে হবে। 
যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8101


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নানীর জন্য প্রশ্নে বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ীও ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ গ্রহণ করা জায়েয হবে না। বরং উনি ঐ টাকা কোথাও ইনভেস্ট করবেন। আপনার মা উনার মেয়ে হিসেবে তার দায়িত্ব হল, এবং পর্যায়ক্রমে আপনাদেরও দায়িত্ব যে, আপনারা আপনাদের নানীর দেখভাল করবেন এবং ইনভেস্টে সাহায্য করবেন। যদি আপনার মা খালারা এবং আপনারা নাতি নাতনিরা সামর্থ্য থাকার পরও দেখভাল না করেন, তাহলে আপনাদের ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। 

মোটকথা, আপনার নানির জন্য সুদ খাওয়া জায়েয হবে না। বরং তিনি মূলধন ইনভেস্ট করবেন। এবং আপনারা এ কাজে উনাকে সাহায্য করবেন। মূলধন যদি ঘটনাক্রমে শেষ হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের ওয়াজিব দায়িত্ব হল, উনাকে দেখভাল করা ও উনার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিজ কাধে গ্রহণ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...