ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ যে সকল সালাতে উচ্চঃস্বরে কিরাআত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে
সেগুলোতে উচ্চঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- ফজর, মাগরিব, এশা, জুমুআ
দু-ঈদের সালাত ও তারাবীহের সালাত। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরাআত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা
আবশ্যক নয়।
,
অনুরূপভাবে যেসকল সালাতে নিম্নস্বরে কেরাত পাঠ করার নির্দেশ
রয়েছে সেসব সালাতে নীরবে বা চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের
সালাত।
আত্বা ইবনে আবূ রাবাহ থেকে বর্ণিত, আবূ
হূরাইরাহ (রাঃ) বলেন,
فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ
فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا
أَخْفَى عَلَيْنَا أَخْفَيْنَا عَلَيْكُمْ .
প্রত্যেক সালাতেই ক্বিরাআত পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব
সালাতে আমাদেরকে শুনিয়ে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমরাও
তোমাদেরকে সেসব সালাতে সশব্দে ক্বিরাআত পড়ে শুনাই। পক্ষান্তরে তিনি যেসব সালাতে
নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমারাও তাতে নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়ে থাকি।” সহীহ বুখারী ও
মুসলিম। আবু দাউদ 797
,
□ নীরবে পড়ার ক্ষেত্রে এতটুকু আওয়াজে পড়া আবশ্যক যে, যেন
নিজে শুনতে পায়।
যদি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করেছে, কিন্তু
এত নিম্নস্বরে পড়েছে যে, নিজের কানেও শুনেনি অথচ এ সময় কোন অন্তরায় যেমন, হৈ-চৈই
ছিলো না, আবার কান ভারী (অর্থাৎ বধির)ও নয় তাহলে তার সালাত হবে না।
,
১. (পুরুষ) একাকী আদায় করলে (ফজর, মাগরীব
ও এশার প্রথম দুই রাকাতে) কিরাআত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা তার উপর আবশ্যক নয়। তবে সে
চাইলে উচ্চঃস্বরে পড়তে পারবে। (অর্থাৎ এমন আওয়াজে পড়তে পারবে যাতে করে রুমের সবাই
বা আশ পাশের সবাই তেলাওয়াত শুনতে পায়)।
,
২. নীরবে পড়ার ক্ষেত্রে এতটুকু আওয়াজে পড়া আবশ্যক যে, যেনো
নিজে শুনতে পায়। যদি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করেছে, কিন্তু
এত নিম্নস্বরে পড়েছে যে, নিজের কানেও শুনেনি অথচ এ সময় কোন অন্তরায় যেমন, হৈ-চৈই
ছিলো না, আবার কান ভারী (অর্থাৎ বধির)ও নয় তাহলে তার সালাত হবে
না। তবে আবার এমন আওয়াজেও পড়া যাবে না
যাতে করে পাশের কেউ স্পষ্ট ভাবে ক্বিরাত শুনতে পায়।
নামাজে মহিলাদের তেলাওয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/5508/
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজে মনে মনে ক্বিরাত পড়লে নামাজ
শুদ্ধ হবে না।
তিনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী
চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে
কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)