আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
উস্তায আমার বিয়ের দের বছর একটা বাচ্চাও আছে 2 মাসের। আমি বিয়ের আগে হেদায়ত প্রাপ্ত হয় আলহামদুলিল্লাহ।কিন্তু পরিবার আমাকে জোর করে ডিভোর্সি এক ছেলে,দীনদার ছেলে বলে বিয়ে দেয়।বিয়ের পর জানতে পারি তার আগের স্ত্রী থাকাতে সে পরকীয়া তে লিপ্ত ছিল যেকারনে তার আগের ডিভোর্স হয়ে। এটা জানার পর আমিও ডিভোর্স চাইছিলাম কিন্তু পরিবার আবার আমাকে জোর করে স্বামীর কাছে পাঠায়। আমার স্বামী ফরজ ও ঠিক মত আদায় করত না,এখনো করে না। তারপর আমি তাকে অনেক বুঝাইতাম ভাবছিলাম সে হয়তো হেদায়ত প্রাপ্ত হবে। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে কোনো মূল্যই দেয় না,সে শুধু আমাকে সব কিছু নিয়ে খোটা দেয়,আমাকে সবসময় অপমান করে ছোট করে আমার দ্বীন প্র্যাকটিস নিয়েও কটূক্তি করে,কথায় কথায় গায়ে হাতও তোলে সব কিছু মিলিয়ে আমি এখন শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের স্বীকার। অন্যদিকে নিজে হেদায়ত থেকে সরে যাচ্ছি দ্বীন থেকে মাহরুম হয়ে যাচ্ছি শুধু বেদ্বীন স্বামীর সঙ্গে থেকে। স্বামীকে অনেক ভাবে হেদায়েতে আনার চেষ্টা করতেছি, ইসলামিক বই পত্রও পড়ানোর চেষ্টা করতেছি, আইওএম ভর্তি করানোর চেষ্টা করছি কিন্তু সে কিছুই করবে না।  তার নিজের যা ভালো লাগে তাই করে। এখন আমি কি করতে পারি????

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মনে রাখতে হবে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-- https://www.ifatwa.info/295

বিঃদ্রঃ
হাজবেন্ডের সাথে সম্পর্ক ভালো করার নিয়তে সূরা রুমের ২১ নং আযাত এবং সূরা আরাফের ১৮৯ নাম্বার আয়াত পড়ে দুআ করবেন। সর্বোপরি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে স্বামীর হেদায়তের দু'আ করবেন।আল্লাহ আপনার স্বামীকে হেদায়ত দান করুক।আমীন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...