আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাহতুহ।

উস্তাদ স্বপ্নটির ব্যাখ্যা জানালে মুনাসিব হতো।

১)স্বপ্নে একটি বড় জাহাজে বড়  একটা আলমারি/ফ্রিজ উঠাচ্ছি এমন সময় খেয়াল করলাম জাহাজটি উত্তাল মাঝ  সমুদ্রে  আমি ফ্রিজ/আলমারিটি ব্যালেন্স করতে চাচ্ছিলাম আর অন্য দিকে জাহাজটিও নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছিলো এমন সময় কেউ একজন এসে বলে জাহাজ টা নিয়ন্ত্রণ করো আগে ( মনে হচ্ছিল ঐ জাহাজ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমার কাঁধে ) আমি হাতের আলমারিটি ছেড়ে জাহাজ নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছি এই উত্তাল সমুদ্রে আল্লাহ সাহায্য  ছাড়া নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয় তাই নামাজ পড়ে সাহায্য চাইতে হবে কিন্তু কোন দিক ফিরে নামাজ পরবো দিক দক্ষিণ বোঝা সম্ভব হচ্ছিলো  কারন মাঝ সমুদ্রের চারি দিকে শুধু পানি যতদুর চোখ যায়। এমন সময় আমার স্মরনে আসে কুরআনে  সুরা বাকারাহ,আয়াত ১১৫  এ উল্লেখিত
 "যে দিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন, সেদিকই আল্লাহর দিক" এ-ই অংশ টুকু তারপর আমিসহ জাহাজে থাকা আর দু'জন কে নিয়ে তিনজন তিন দিকে ফিরে সিজদাহ্তে পড়ে যাই এক সাথে যেহেতু আমরা বুঝতে পারছিলাম না কোন দিক কিবলা তখন মনে হলো আস্তে আস্তে সমুদ্র শান্ত হয়ে আসছে জাহাজটিও নিয়ন্ত্রণে আসছে।এমন সময় দৃষ্টি একটু একটু করে জাহাজের যেখানে সিজদাহ্ দেয়া হচ্ছে ওখানে থেকে  উপরে উঠে যাচ্ছে ড্রোন দিয়ে যেমন দেখা যা সেরকম কিন্তু তখন দেখলাম  সেজদাহ অবস্থা যারা রয়েছে তারা তিনজনই পুরুষদের পোশাক পরা। তার পর ঘুম ভেঙে যায়।

২)স্বপ্নে  দাড়িয়ে হাতি দেখার অর্থ কি।

1 Answer

0 votes
ago by (674,970 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নটি ভালো,আলহামদুলিল্লাহ বিপদ আসছে, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি বা আপনার প্রিয়জন বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন। 

এটি ইঙ্গিত হতে পারে যে আপনার ঈমান, কাজ-কর্ম, ন্যায়বিচার, সততার পথে থাকলে আল্লাহ আপনার সহায়ক হবেন।

(০২)
স্বপ্নে হাতি দেখা এটি শক্তি, ক্ষমতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি (রাজা, শাসক, ধনী বা বড়পদস্থ মানুষ) এর প্রতীক।

সুতরাং আপনি প্রভাবশালী বা ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে উপকার পাবেন অথবা বড় দায়িত্ব/পদে আসীন হবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...