আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited ago by
১.কোন স্বামী যদি তালাকের আলোচনা হচ্ছে এমন স্থানে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলে।তালাক দেওয়া উদ্দেশ্য না হয় তাহলে কি তালাক হয়?তালাক চাওয়ার পর তালাক দিলে তালাক হবে সে ভয়ে তালাক না হওয়ার জন্য এমনিতে বলে তুমার মা বাবার পছন্দ মত কর বিয়ে কিন্তু তার মোটেও তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্য না হয় তাহলে কি তালাক হবে? কেনায়া তালাক নিয়ে না জেনে এমন বললে কি তালাক হবে?

২।কোন স্ত্রীকে তালাকের পাওয়ার দিলেও স্ত্রী যদি নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীর দিকে ইঙ্গিত করে তালাক দেয় বা  মনে  মনে স্বামীর দিকে ইঙ্গিত করে শুধু শব্দটা বলে তাহলে কি তালাক হয়? এর পর আরো এমন কেনায়া শব্দ  বলে  বা সম্পর্ক হারাম হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত তাও স্বামীর দিকে ইঙ্গিত করে মনে মনে তাহলে কি তালাক হয়?মোটেও নিজের দিকে ইঙ্গিত না থাকে মনে মনে।এরকম আলাদা ভাবে প্রশ্নের উত্তরে তালাক হবে না বলা হয়েছিল(ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছিল)।যতটুকু মনে আছে।

৩।স্ত্রী যদি তালাক চায় স্বামীর কাছে।স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের পাওয়ার দেয় মৌখিক।স্বামী যদি বলে "আমার ভাত খাইতে হয়লে থাক নয়ত যাও"। স্ত্রী ও যদি বলে " খাইলাম না গেলাম"। রাগারাগি বা ঝগড়ার সময় এমনিতে এমন বললে নিয়ত ছাড়া  বা নিজেকে তালাক না দিবে বা নিজের দিকে ইঙ্গিত না করলে কি তালাক হয়?

৪।স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে এসব ঘটনা হওয়ার পর আবার ভালো হয়ে যাওয়া একটু পর একদম ভালো আবার পরে কয়েকদিন এমন হওয়া আবার ভালো হওয়া এর দ্বারা কি কিছু হয়?

1 Answer

0 votes
ago by (674,700 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...