আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
7 views
ago in সাওম (Fasting) by (1 point)
আস সালামু আলাইকুম। বালেগ হওয়ার পরও কয়েক বছর সব রোজা রাখা হয় নি ;কিছু বাদ গেছে। এছাড়াও ১৯ বছর বয়সে প্রথম বারের মত হোস্টেল এ থাকা হয় ৩ মাস। তার মধ্যে রমজান মাস ছিলো। ঐ হস্টেল এ সাহরি তে খাবার দিত না । গরমের দিন ছিলো। সন্ধ্যার খাবার রেখে দিলে অনেক সময় নস্ট হয়ে যেত। নতুন শহরে বাইরে থেকে খাবার আনবো তেমন বুঝতাম না। তাই প্রায় সবগুলো রোজাই কাজা হয়েছিল। তখন পর্দা করতাম ; নামাজ পড়তাম তবুও পুরো দিনের বুঝ ছিলো না।  এখন আমাকে কি কাফফারা আদায় করতে হবে। তাহলে ঐ একমাসের জন্য কয়টা রোজা রাখবো ?

1 Answer

0 votes
ago by (672,210 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

রমজান মাসের রোজা না রাখা কবিরা গুনাহ ও কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হাদিসে বিনা কারণে রোজা ভঙ্গের ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। (আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন)

হাদিসে এসেছে:

আবু উমামা বাহিলি রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি,

بينَا أنَا نَائِمٌ إذْ أَتَاني رَجُلانِ فأخَذَا بضَبْعِي -أي: عَضُدِي- فَأَتَيَا بي جَبَلاً وَعْراً فَقَالَا لي: اصْعَدْ، فقلت: إني لا أُطِيقُه، فقَالَ: إنا سَنُسَهِّلُه لك،فَصَعَدتُ حتى إذا كُنتُ في سَواءِ الجَبَل إذا أنا بِأصْواتٍ شدِيدَةٍ،فَقُلْتُ: مَا هَذهِ الأَصْواتُ؟ قَالَوا: هَذا عِوى أَهْلِ النَّارِ، ثمَّ انْطُلِقَ بي فَإِذا أَنا بِقَومٍ مُعَلَّقِين بِعَرَاقِيبهِم، مُشَقَّقَةٍ أَشْدَاقُهُم تَسِيلُ أشْداقُهُم دَماً، قَالَ: قُلتُ: مَن هَؤُلاءِ؟ قَالَ: هؤُلاءِ الَّذين يُفطِرُون قَبلَ تَحِلَّة صَوْمِهِم

“আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সহসা দু জন লোক এসে আমার বাহু ধরে আমাকেসহ তারা এক দুর্গম পাহাড়ে গমন করল।
তারা আমাকে বলল: পাহাড়ে উঠো।
আমি বললাম: এ পাহাড়ে উঠা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
তারা বলল: আমরা তোমাকে সাহায্য করব।
যাহোক আমি ওপরে উঠতে শুরু করলাম। যখন পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছলাম তখন বিকট আওয়াজের সম্মুখীন হলাম।
জিজ্ঞাসা করলাম: এগুলো কিসের আওয়াজ?
তারা বলল: এগুলো জাহান্নামীদের আর্তনাদ।
অতঃপর তারা আমাকে নিয়ে রওনা করার পর আমি এমন লোকদের সম্মুখীন হলাম, যাদেরকে হাঁটুতে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের চোয়াল ক্ষতবিক্ষত। সেখান থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমি জিজ্ঞাসা করলাম: এরা কারা?
তারা বলল: এরা হল সেসব লোক যারা রোজা পূর্ণ করার আগে ভেঙ্গে ফেলত।”

 [নাসাঈ ফিল কুবরা: ৩২৮৬, তাবরানি ফিল কাবির: ৭৬৬৭]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেদিন থেকে বালেগ/বালেগাহ হয়েছেন,সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজা রোযার হিসাব করবেন।

(সেক্ষেত্রে চেষ্টার পরে অনুমানে কিছু ভুল হলে আশা করি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।)

এরপর সবকটি রোযার কাজা আদায় করবেন।

একাধিক বছরের রোযা কাজা হলে কোন বছরের কাজা রোযা,সেই বছরের নিয়ত করতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু রোযা রেখে ভেঙ্গে ফেলেননি,বরং আদৌ রোযাই রাখেননি,তাই কাফফারা আবশ্যক হবেনা।

শুধু মাত্র রোযা গুলির কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...