আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in পবিত্রতা (Purity) by (86 points)
edited by
আস্সালামুআলাইকুম শায়েখ ,কোনো নারীর হায়েজ চলছে এমতাবস্থায় চার দিন কন্টিনিউ হওয়ার পর পঞ্চম দিনে কোনো ব্লাড দেখা গেলোনা কিন্তু ষষ্ঠ দিনে অল্প অল্প দেখা গেলো আবার সপ্তম দিনে ভালো হয়ে গেলো ..এই অভ্যাস উনার সাধারণ অভ্যাস সব সময়ই হয় ..শুধু দিন টা ঠিক থাকেনা কখনো কখনো তিন দিন কন্টিনিউ হয়ে একদিন ব্লাড বন্ধ হয়ে আবার একদিন ব্লাড দেখা দিয়ে বন্ধ হয় .এখন প্রশ্ন হচ্ছে হায়েজের পর যে গোসল ওয়াজিব হয় সেটা ওই নারী ষষ্ঠ দিনের পরে ব্লাড বন্ধ হয়েছে ভেবে গোসল করে সালাত আদায় করলে যদি পরে আবার ব্লাড দেখতে পায় সেক্ষেত্রে কি আবার ভালো হওয়ার পর ওই ওয়াজিব গোসল করে ইবাদাত করতে হবে নাকি আগের গোসলেই হয়ে যাবে .?মানে যদি পবিত্র হয়ে জোহর ,আসর আদায় করলো কিন্তু মাগরিবের সময় সাদা স্রাবের সাথে অল্প ব্লাড দেখতে পেলো আবার ফজরের সময় সাদা স্রাব দেখতে পায় এক্ষেত্রে কি আগে ওয়াজিব গোসল করা থাকলেও আবার গোসল করে ইবাদাত করবে ?নাকি কাপড় পাল্টে ওযু করে ইবাদাত করবে ?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

 জবাবঃ-
 اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا 
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি। (ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া) 

 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
 فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً 
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭ কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮ কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২) 


(وأما) صاحبة العادة في الحيض إذا كانت عادتها عشرة فزاد الدم عليها فالزيادة استحاضة، وإن كانت عادتها خمسة فالزيادة عليها حيض معها إلى تمام العشرة لما ذكرنافي المبتدأة بالحيض، وإن جاوز العشرة فعادتها حيض، وما زاد عليها استحاضة 
সাহেবে আদত তথা যার হায়েয সারা বৎসর একি নিয়মে হয়। কোনো সাহেবে আদত মহিলার যদি ১০দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন যদি দশকে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ১০ এর অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি কোনো সাহেবে আদত মহিলার ৫দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন ৫দিন কে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০দিন পর্যন্ত হায়েযই গণ্য হবে।তবে যদি ১০কেও ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ৫দিন পর্যন্তই হায়েয হবে। এবং পাঁচের অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(বাদায়ে সানায়ে-১/৪১)

 প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন! 
আপনাকে আবার গোসল করতে হবে।পূর্বের গোসল আপনার জন্য যথেষ্ট হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...