ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১) নামাজ আদায় করার সময় সমনের সফ পর্যন্ত রাখা যাবে। নিজ সফে দৃষ্টি রাখা সুন্নত।
(২) নামায়ে চোখ বন্ধ রাখা মাকরুহ। নামায়ে ভিন্ন খেয়াল আসলে নামায ফাসিদ হবে না। তবে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় যদি কেউ সকল প্রকার আমল থেকে ফারিগ থাকে, তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৩)
(১ এবং ২)
সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত।
কাউকে সালাম দিতে হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে হবে।কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি।পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।এবং বেদআত।যা অবশ্যই বর্জনীয়।
মা-বাবা বা কোন নেককার বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন।তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।
কিন্তু পায়ে ধরে মাতাপিতা বা শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না।(জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পায়ে এবং পায়ের সামনের জমিনে চুমু দিয়েছেন।সে হিসেবে বলা যায় যে,নিজ মাতাপিতা বা নেককার বুজুর্গ ব্যক্তিবর্গের পায়ে নির্জনে চুমু দেওয়া যাবে। তবে প্রচলিত নিয়মানুসারে পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না।এটা বিদ'আত ও সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেজন্য কারো পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না।এমনটা করা হারাম।জন্মদিন পালন করাও বিজাতীয় সংস্কৃতি যা হারামের আওতাধীন। সুতরাং এ সম্পর্কে মাতপিতার বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধি-বিধান কেই সযত্নে মানতে হবে।এ জন্য যদি মাতপিতার অন্তরে কষ্ট হয়,তা হোক।এটা নিশ্চিত যে,এ ব্যাপারে তাদের কোনো বদ-দু'আর সন্তানের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/3275
(৪)বন্ধুত্বের উপরে কিছু নেই - এই ধরনের কথা বলা কুফরি
(৫) ইয়াজুজ-মাজুজ যখন ইনশাআল্লাহ বলে বলবে, আজ থাক, আগামি কাল ইনশাআল্লাহ আমরা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলবো, তাহলে সেদিই তারা ভেঙ্গে ফেলবে।