আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. নামাজ আদায় করার সময় পুরো নাম আছে দৃষ্টি টা কতদূর পর্যন্ত রাখা যাবে ?

  2.  মাঝে মাঝে নামাজের ক্ষেত্রে আমি খেয়াল করলাম যে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ চোখ বন্ধ করে দেখা যাচ্ছে আমি রুটি করছি সেটা করছি বা কিয়াম করছি সে ক্ষেত্রে আমার নামাজ কে নষ্ট হয়ে যাবে ?

  3. পায়ে ধরে সালাম করলে কি কাফের হয়ে যাবে ?

  4. বন্ধুত্বের উপরে কিছু নেই -  এই ধরনের কথা বলা কি কুফরি এবং এগুলো বিশ্বাস লালন করলে সে কি কাফের হয়ে যাবে ?

  5. একজন আমাকে বললেন জে ইয়াজুজ-মাজুজ নাকি  যখন বিসমিল্লা বলবে শেষ জামানায় তখন নাকি আল্লাহ তাআলা সে প্রাচীরটা ভেঙ্গে দিবে এটা কি   সঠিক ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ

(১)  নামাজ আদায় করার সময় সমনের সফ পর্যন্ত রাখা যাবে। নিজ সফে দৃষ্টি রাখা সুন্নত। 
(২)  নামায়ে চোখ বন্ধ রাখা মাকরুহ। নামায়ে ভিন্ন খেয়াল আসলে নামায ফাসিদ হবে না। তবে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় যদি কেউ সকল প্রকার আমল থেকে ফারিগ থাকে, তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। 
(৩) 
 (১ এবং ২)
সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত।
কাউকে সালাম দিতে হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে হবে।কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি।পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।এবং বেদআত।যা অবশ্যই বর্জনীয়। 

মা-বাবা বা কোন নেককার বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ  ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন।তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।
কিন্তু পায়ে ধরে মাতাপিতা বা শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না।(জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পায়ে এবং পায়ের সামনের জমিনে চুমু দিয়েছেন।সে হিসেবে বলা যায় যে,নিজ মাতাপিতা বা নেককার বুজুর্গ ব্যক্তিবর্গের পায়ে নির্জনে চুমু দেওয়া যাবে। তবে প্রচলিত নিয়মানুসারে পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না।এটা বিদ'আত ও সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেজন্য কারো পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না।এমনটা করা হারাম।জন্মদিন পালন করাও বিজাতীয় সংস্কৃতি যা হারামের আওতাধীন। সুতরাং এ সম্পর্কে মাতপিতার বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধি-বিধান কেই সযত্নে মানতে হবে।এ জন্য যদি মাতপিতার অন্তরে কষ্ট হয়,তা হোক।এটা নিশ্চিত যে,এ ব্যাপারে তাদের কোনো বদ-দু'আর সন্তানের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3275

(৪)বন্ধুত্বের উপরে কিছু নেই -  এই ধরনের কথা বলা কুফরি 

(৫)   ইয়াজুজ-মাজুজ  যখন ইনশাআল্লাহ বলে বলবে, আজ থাক, আগামি কাল ইনশাআল্লাহ আমরা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলবো, তাহলে সেদিই তারা ভেঙ্গে ফেলবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...