আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১।যখন থেকে হুরমত বিষয়টা জেনেছে তখন থেকে এটা নিয়ে চিন্তায় মানে চায় না এমন হোক তবুও ভয়ে থাকা কোন মেয়ে তার বাবার হাত পা টিপে দেওয়ার সময় যদি তার  স্পর্শ লাগার কারনে বুক কেপে উঠে ও সহবাসের চিন্তা আসে মানে কল্পনায় কিন্তু বাস্তবে সহবাস করতে চায় না এমনিতে চিন্তার কারনে এমন হলে কি হরমত হবে?

২।৩_৪ ঘন্টার  বাসের জার্নিতে সবসময় এমন হলে কি কিছু হবে মানে ১ নং এর মত?

৩।বাবা বা শ্বশুর এর সাথে সহবাসের নিয়ত নাই কিন্তু জানার পর থেকে ২৪ ঘন্টা মাথায় এসব ঘুরলে স্পর্শের দ্বারা কলব ও কেপে উঠলে এবং সহবাসের চিন্তা তহ সবসময় থাকলে কি হুরমত হবে?

৪।সহবাসের নিয়ত আর চিন্তা আসা এমন মানে না চাওয়া সত্বেও চিন্তা আসা এসব কি এক???সহবাসের চিন্তা আসতে হবে এমন শর্ত আছে এক্ষেত্রে এটা কি নিয়তে স্পর্শ করতে হবে নাকি চিন্তা আসলেও হবে না চাওয়া সত্বেও?

৫।কোন মানুষ ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত হলে ১ বছর মাঝখানে ২ বছর এমনিতে কিছু চিন্তা না করার কারণে এসব ওয়াসওয়াসা নিয়ে আসলেও পাত্তা না দিলে।পরে আবার ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত হয়ে গেলে মাঝখানে ২বছর যখন পাত্তা দিত না তখন ও কি তাকে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত বলা যাবে???

৬।সবসময় মাথায় এসবের চিন্তা ঘুরার কারণে কোন মেয়ে ইসতেগফার পড়ে পড়ে হাত পা টিপে দিলে বাবাকে।হঠাৎ ঠোঁটের দিকে চোখ পরলে যদি কলব কেপে উঠে কিন্তু খারাপ চিন্তা এসেছে কিনা বুঝবে কিভাবে সবসময় তহ ভয়ে আর এসবের চিন্তায় থাকলে???
ago by (14 points)
আপু, হুরমতে মুসাহারাত আসলে একটা ভুল ফতওয়া। প্লিজ বুঝার চেষ্টা করুন, নিজের জীবনকে এভাবে কষ্টকর বানিয়ে ফেলিয়েন না। 

1 Answer

0 votes
by (703,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/
বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...