আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
335 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
প্রতিবার পিরিয়ড শেষ হয় ৭ দিনেই! এরপর গোসল করে পবিত্র হই। কিন্তু এবার ৭ দিন পরে ৮ম দিনে গোসল করলাম কিছু হয় নি এর আগের দিন তাই! উপর থেকে যতটা ভালোভাবে পরিস্কার করা যায় ততটা পরিষ্কার করেই নিয়েছিলাম!  কিন্তু বিকেলে ওয়াশরুম যাওয়ার পর টুকরা কাপড় দিয়ে ভিতরে পরিস্কার করার সময় ১/২ অণু পরিমান সাদস্রাবের সাথে লাল মিশ্রিত সামান্য কিছু দেখতে পাই! এখন সন্দেহ হচ্ছে এটা হয়তো আগের নাপাকি ভিতরে ছিলো যা পরিস্কার করা হয় নি হয়তো!  অথচ ভালো করেই পরিস্কার করেছিলাম যতটা পারা যায়! এরকম হওয়ার কারণ কি?! ৭ দিনেই সবসময় ভালো হয়ে যাই এবার ৮ দিনে এরকম হওয়া কি স্বাভাবিক?!
আমি কি নামাজ পরতে পারবো নাকি আবার ফরজ গোসল  করতে হবে?!   বিকেলে আবার গোসল করতে যেয়ে সামান্য লাল বর্ণের সাদাস্রাবের মতো আবার দেখতে পাই যা খুবই সামান্য!  করনীয় কি?!

ভয় হয় যদি নামাজ ফরজ হয়ে যায় আর সন্দেহের জন্য অপেক্ষা করায় নামাজ না পরলে তো গুনাহ হবে! কি করবো উস্তায??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পূর্বের কিছু ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে  শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ শুরু হওয়ার দিন থেকে নিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত সময়ের মাঝে সাদা রং ব্যাতিত যেকোনো রং যেমন প্রশ্নে উল্লেখিত  লাল স্রাব বের হলে সেটি হায়েজ বলেই গন্য হবে।
,
পুর্বের মেয়াদ থেকে যত দিন বেশি হোকনা কেনো।
আপনি এক্ষেত্রে হায়েজ শুরু হওয়ার ১ম দিন থেকে হিসেব করবেন।
১০ দিনের মধ্যে সাদা ব্যাতিত অন্য রক্ত আসলেই হায়েজ ধরতে হবে।
,
১০ দিনের পরও কোনো কিছু আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরে নিবেন।
এতে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 
,
★গোসলের ক্ষেত্রে আপনি পুর্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি দেখেন যে আরো কোনো রক্ত আসছেনা,তাহলে সেই নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে গোসল করে নামাজ পড়ে নিবেন।
হ্যাঁ যদি তারপর ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত পান,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,তাহলে উক্ত রক্ত ১০ দিনের মধ্যেই বন্ধ হলে তারপর গোসল করবেন।

আর যদি ১০ দিনের পরেও উক্ত রক্ত আসে,তাহলে   ১০ দিনের মাথায় গোসল করে নামাজ পড়া শুরু করতে হবে।
,
এক্ষেত্রে যে মা'যুর হলে সে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 109 views
0 votes
1 answer 104 views
...