আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাহতুল্লহ শায়েখ

১. আমার কোষ্ঠকাঠীন্য  ও পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়ে ছিল। ডাক্তার দেখিয়েছিলাম।এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি তবে মাঝে মাঝে খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক না হলে সমস্যা দেখা দেয়।আবার একটু ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করলে ভালো থাকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এমন রোগের কথা বায়োডাটাতে কি উল্লেখ করতে হবে?  বায়োডাটাতে শারীরিক ও মানসিক কোনো রোগ আছে না কি জানতে চাওয়া হয়।

২. আমার পায়ে এক ধরনের চর্মরোগ ছিল।ডাক্টার দেখিয়েছিলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।তবে মাঝে মাঝে দেখা যায়। একটা মলম ডাক্টার দিয়েছিল ওইটা ব্যবহার করলে সেরে যায় আলহামদুলিল্লাহ। এই রোগটার কথাও কি বলা লাগবে?

৩. আমি নতুন দ্বীনে প্রবেশ করেছি আলহামদুলিল্লাহ। আমার ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্য আছে। আমি ওস্তাযা কাছে পরামর্শ নিয়ে কাজ করছি।ওনি বলেছেন আমি সুস্থতার দিকে শুধু মাঝে মাঝে আগের অভ্যাসটা ফিরে আসছে। এই কথাটাও বায়োডাটাতে বলা লাগবে কি?

৪. ফরজ নামাজের চতুর্থ রাকাতে ভুলে সূরা পড়ে ফেললে পরে মনে পড়লে সাহু সিজদাহ দিলে নামাজ হবে নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (671,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/64966 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন। 
তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★আর যদি রোগটি হালকা হয়,সেক্ষেত্রে সেই রোগ গোপন করা যাবে।

উল্লেখিত রোগগুলো যেহেতু আপনার নিয়মিত জীবনযাপনে কোনো প্রভাব রাখে না এবং নিয়মিত চিকিৎসাও চলছে,আর যেহেতু  এ ধরনের রোগের কারনে স্বামীর হক আদায়ে সাধারণত কোনো ত্রুটি হয়না,সুতরাং এ ধরনের রোগ গোপন করা যাবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত রোগটি বায়োডাটাতে গোপন করতে পারবেন।

বায়োডাটাতে শারীরিক ও মানসিক কোনো রোগ আছে না কি জানতে চাওয়া হলেও তাহা গোপন করা যাবে।

(০২)
না,এই রোগের কথাও গোপন করা যাবে।

(০৩)
যেহেতু আপনি সুস্থতার দিকে ফিরে আসতেছেন, সুতরাং এটির কথা না বললেও চলবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়ে যাবে। কোন সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...