আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম,  এক বোনের প্রশ্ন:

আজ বিকেলে বিআরটিসি কলেজ বাসে করে আমরা যখন বাসায় ফিরছিলাম।তখন হঠাৎ চলন্ত বাস থেকে হেমায়েতপুর মাঝের ওভারব্রীজ আনুমানিক ০৪:১৬ মিনিটের দিকে ঝুমুর এর কানের দুল এক ছিনতাইকারী টেনে নেয়।


এতে করে সে ব্যথায় চিৎকার করে কানে আঘাত পায়,রক্তাক্ত হয়। তখন বাসে থাকা ছেলেরা শিহাব, মোতালেব, রিমন ও কয়েকজন দৌড়ে ছিনতাইকারীর পেছনে যায়,জীবন ঝুঁকি নিয়েই তারা অনেক কষ্টে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।


আমরা মেয়েরাও প্রায় আট-নয়জন যারা ছিলাম সবাই চলে যাই।

এরপর চোর সে স্থানীয় এক বাসার ওয়াশরুমে ঢুকে ছিলো।সে বের হচ্ছিল না,আমরা অনেক সময় পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছিনতাইকারীকে বের করে আনি।


এরপর তার শাস্তি আমরা দিতে চাইলেও সেখানে স্থানীয় মুরুব্বী লোকজন আলোচনার মাধ্যমে তারা আমাদের আশ্বাস দেয়,পরবর্তীতে আর এরকম ঘটনা ঘটবে না।


এরপর তার শাস্তিস্বরূপ ভুক্তভোগী কে তার গহনা ফেরত যেহেতু দুল টা ভেঙে গেছে তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, অর্থদণ্ড নেওয়া হয় এবং আমরা নিজেরাও তাকে একটু উত্তম মাধ্যম দেই। শেষ পর্যন্ত সে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়।এই সমস্যার সমাধান করতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে যায়।

পরে অই আপুকে জরিমানার টাকা দেওয়া হয় তা থেকে কিছু অংশ ওখানে থাকা ( ছিনতাইকারী ধরার কাজে সহায়তাকারী) বোনকেও দেওয়া হয়।  এখন এই টাকা নেওয়া কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (669,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الزُّبَيْرِ أَبِي عَبْدِ السَّلَامِ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مِكْرَزٍ الْفِهْرِيِّ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْأَسَدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِوَابِصَةَ جِئْتَ تَسْأَلُ عَنْ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَجَمَعَ أَصَابِعَهُ فَضَرَبَ بِهَا صَدْرَهُ وَقَالَ اسْتَفْتِ نَفْسَكَ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ يَا وَابِصَةُ ثَلَاثًا الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ وَأَفْتَوْكَ 

ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ আল আসাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াবিসাকে বলেন, “তুমি আমাকে পাপ ও পুণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছ?” তিনি বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, তখন তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মুষ্টিবদ্ধ করে তা দ্বারা তার বুকে আঘাত করে বললেন: “হে ওয়াবিসা! তুমি তোমার নাফসকে জিজ্ঞেস কর, তোমার অন্তরকে জিজ্ঞেস কর।”- একথা তিনি তিনবার বললেন। “তোমার নাফস বা মন যে বিষয়ে প্রশান্তি বা নিশ্চিন্ততা লাভ করে, তোমার অন্তর যে বিষয়ের প্রতি প্রশান্ত- নিশ্চিন্ত হয়-তা-ই হলো পূণ্য। আর তোমার মন যে বিষয়ে চিন্তিত হয়, তোমার অন্তরে যা ইতস্ততবোধ বা দ্বিধা সঞ্চার করে-তা-ই হলো পাপ। লোকেরা যদি তোমাকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়, তবে তুমি তা গ্রহণ করবে।”

(সুনানে আদ দারেমী ২৫৭১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে যেহেতু দুল টা ভেঙে গেছে, তাই ক্ষতিপূরণ নেয়া জায়েজ হয়েছে।
অর্থদণ্ড নেওয়া জায়েজ হয়নি। এক্ষেত্রে উচিত ছিলো তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
এখানে যারা চোরকে ধরছে তাদেরকে সেই জরিমানার টাকা থেকে কিছু টাকা দিছে, এটা নেওয়া কি জায়েজ হয়েছে তা বুঝিয়েছি?  যেমন: আমার দুল চুরি হইছে,আমার ফ্রেন্ডরা চোর ধরছে আর আমার দুলের জরিমানা আমাকে দিয়েছে ফেরত আমি এখন ওদেরকে সেই জরিমানা থেকে কিছু অংশ দিছি, এক্ষেত্রে ওদের জন্য এ টাকা নেওয়া জায়েজ হবে?? উল্লেখ্য হাদিয়া কি না এ বিষয় স্পষ্ট বলা নেই

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...