আসসালামু আলাইকুম
আমার স্বামী ও আমি একে অপরের থেকে দূরে থাকি তার পড়াশুনার বা পারিবারিক খাতিরে।
উনি পড়া শুনার ব্যাপারে বেশি সিরিয়াস হওয়ায় আমাদের কথা বা দেখা তুলনামূলক কম হতো এখন একদম হয়না।
আমার যে হক্বগুলো আছে আমি এসব ওনাকে মাফ করে দিলেও ওনার সাথে খুব ই কথা বলতে দেখা করতে চাইতাম। কিন্তু উনি কথা বলতেন না চাইলেও দেখা করতেন না
উনি আমার সাথে কথা বলার ১/২ মিনিটের মাঝেই পড়তে যেতেন। দেখা করতে এলে বলতেন সারাদিন পড়া হলোনা। আমার খুব ই অনুতপ্ত লাগতো।
আমার যখন খুব খারাপ লাগতো, ওনার সাথে কথা বলতে চাইলে সেই সময় ই উনি থাকতেন না।
রিসেন্টলি আমি খুব ই অসুস্থ ছিলাম, উনি জানাতেন কিন্তু দেখতে আসেন নি। আমিও কিছু বলিনি। পরে আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার আম্মাকে উনি কল করেন এবং আম্মা বলে আসতে আমাকে দেখে যেতে, আম্মার কথার প্রেক্ষিতে উনি বলেন আম্মা আমার তো পরিক্ষা।
আম্মার কথা শুনে ওনার কিছু মনে হয়েছে হয়তো পরের দিন এসেছেন উনি। কিন্তু ওনার আসা আমি মেনে নিতে পারিনি।।মনে হচ্ছিলো আম্মার কথায় এসেছেন বাস্তবিক ভাবে আমাকে দেখতে আসেন নি। স্বাভাবিক ভাবে কথাও বলতে পারিনি শুধু কেদেছি।
এখনো আমার শরীর প্রচন্ড খারাপ,বিছানা থেকে উঠতে পারিনা, উঠি বসে বসে নামাজ পড়ে আবার শুয়ে যাই।
কিন্তু উনি কখনোই আমাকে দেখতে অবধি আসেন না, ফোন অবধি দেন না। কিছু মেসেজ দেন। আমাদের বিয়ের মাত্র ৪ মাস আমাকে বিষয়গুলো খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি ওনার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারছিনা। হাসতে পারছিনা। উনি মেসেজ দিলে কথা বলছি কিন্তু নিজে থেকে বলতে পারছিনা কোনভাবেই। কষ্ট হচ্ছে কোন আবেগ কাজ করছেনা।
আমি তার সাথে হেসে কথা বলছিনা এজন্য উনি আমাকে বলেছেন আমার হক এর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো!
আমিও খুব নম্রভাবে জিজ্ঞেস করেছি আমার হক্ব?উনি বলেছেন পরিক্ষার পর এটা আল্লাহকে বলিও। (অর্থাৎ এখন খেলাফি মাফ করো, পরিক্ষার পর ধরিও)।
এখন মূল প্রশ্ন হলো আমি কি সত্যি তার হক্ব নষ্ট করছি?
সে কথা বললে বলছি ফোন ধরছি, শুধু নিজের থেকে আগ বাড়িয়ে পারছিনা। কোনভাবেই পারছিনা৷ এটা কি হক্ব এর খেলাফি?