ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/22395/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পাখিকে নিয়মিত খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে খাচায় বন্দী করে
সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে লালন-পালন করা জায়েয।কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে
হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় আটকে রাখা
জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার ৬/৪০১)
কিছু সাহাবী থেকে খাচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত রয়েছে।
হযরত হিশাম ইবনে উরওয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ
ابْنُ الزّبَيْرِ بِمَكّةَ وَأَصْحَابُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ
يَحْمِلُونَ الطّيْرَ فِي الْأَقْفَاصِ.
আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবীগণ খাচায়
পাখি রাখতেন। (আল আদাবুল মুফরাদ,
হাদীস ৩৮৩)
,
অন্য এক হাদীসে রয়েছে-
عن
أَنَسٍ: قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحْسَنَ
النَّاسِ خُلُقًا وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْر، وقال أحبه فَطِيمٌ
وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغيْرُ نُغَرٌ
كَانَ يَلْعَبُ بِهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবার চেয়ে অধিক সদাচারী
ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল; তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ের
দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! তোমার নুগায়র কি করছে? সে নুগায়র পাখিটা
নিয়ে খেলতো। (বুখারী হাদীস নং ৬২০৩; মুসলিম ,২১৫০)
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
আপনি কবুতরকে নিয়মিত খাবার - পানি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা
করার মাধ্যমে পুষতে পারবেন। এতে আপনার কোন গুনাহ হবে না। তবে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে।
যথাযথ পরিচর্যা করতে না পারার কারণে কষ্ট পেলে এভাবে আটকে রাখা জায়েয হবে না।