আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী শহরে চাকরি করেন। আমি ৯ মাসের কন্যা সন্তানসহ স্বামীর সঙ্গে শহরে থাকছি। আমার শ্বশুর ও ভাসুর দুজনেই চাকরি করেন। আমার ভাসুরের বিয়ে ১০ বছর হয়েছে। আমার জা এতদিন গ্রামে ছিল। সেও এখন শহরে যাচ্ছে স্বামীর সাথে থাকবে। কিন্তু যাওয়ার আগে উনি বলছেন, উনি এতদিন দেখেছেন শাশুড়িকে, এবার যেন আমি গ্রামে যাই শাশুড়ির দেখাশোনা করতে। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে নিজের সাথে রাখতে চান। আমরা স্বামী-স্ত্রী চাই শাশুড়ী আমাদের সাথে শহরে থাকুক। কিন্তু আমার শাশুড়ি চাচ্ছেন না। আমার জা কোথায় শুনেছেন, ছেলের বউরা শাশুড়িকে দেখেন নি, সেই শাশুড়ি মারা গিয়েছেন কেউ জানতোই না। এখন আমাদের শাশুড়ির এমন কিছু যদি ঘটে, তাই আমাকে যেতে বলছে। উল্লেখ্য আমার বাচ্চা ঠিকমত ঘুমায় না। আমরা স্বামী-স্ত্রী ভাগাভাগি করে তাকে নিয়ে রাত পার করি। গ্রামে গেলে বাচ্চা সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে। আমার স্বামী একজন মহিলাকে রাখতে চাচ্ছেন শাশুড়ির দেখাশোনার বিষয়ে। আমার স্বামী বা আমার কি করণীয় এখন? আল্লাহ না করুক শাশুড়ির কিছু হলে সেই দায়ভার কি আমার স্বামী বা আমার উপর বর্তাবে?

1 Answer

0 votes
by (711,030 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (খঃ৪১/পৃঃ ৭৬) বর্ণিত রয়েছে....
ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻮﻳﺘﻴﺔ :
ﻣَﻦْ ﺗَﺠِﺐُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ :
- 53 ﺗَﺠِﺐُ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ، ﻷَِﻥَّ ﻟِﻸَْﺑَﻮَﻳْﻦِ ﺗَﺄْﻭِﻳﻼً ﻓِﻲ ﻣَﺎﻝ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ ﺑِﺎﻟﻨَّﺺِّ، ﻭَﻷَِﻧَّﻪُ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ، ﻓَﻜَﺎﻥَ ﺃَﻭْﻟَﻰ ﺑِﺎﺳْﺘِﺤْﻘَﺎﻕِ ﻧَﻔَﻘَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ  ﻭَﻫِﻲَ ﻋِﻨْﺪُ ﺍﻟْﺤَﻨَﻔِﻴَّﺔِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺬُّﻛُﻮﺭِ ﻭَﺍﻹِْﻧَﺎﺙِ ﺑِﺎﻟﺴَّﻮِﻳَّﺔِ ﻓِﻲ ﻇَﺎﻫِﺮِ ﺍﻟﺮِّﻭَﺍﻳَﺔِ، ﻷَِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﻌْﻨَﻰ ﻳَﺸْﻤَﻠُﻬُﻤَﺎ ( 2 ) .
( 2 ) ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ 4 / 417 ﻁ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻔﻜﺮ
পিতা-মাতার নাফক্বাহ কার উপর ওয়াজিব হবে।
পিতা-মাতার নাফক্বাহ সন্তানের উপর ওয়াজিব হবে।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,সন্তানের মালের উপর পিতা-মাতা অধিকার রয়েছে।এবং পিতা-মাতা তাদের সব চেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠজন। তাই এজন্য তারা সন্তানের কাছ থেকে খোরপোষের সবচেয়ে বেশী হক্বদার।
জাহির রেওয়ায়াত অনুযায়ী 
হানাফি মাযহাবের মূলনীতির আলোকে পিতা-মাতার খোরপোষের দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের। এক্ষেত্রে উভয়ই সমান অর্থ্যাৎ সবার উপর ওয়াজিব।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৬)(ফাতহুল ক্বাদির, ৪/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার খেদমত ও ভরণপোষণ ছেলে মেয়ে সবার উপর সমানভাবে ওয়াজিব যদি ছেলে মেয়ে সামর্থ্যবান হয়।  যদি কারো শুধুমাত্র ছেলে বা শুধুমাত্র মেয়ে হয়, তাহলে সকলের উপর সমানভাবে মাতাপিতার দেখভাল ও ভরণপোষণ ওযাজিব হবে। 

আপনার স্বামীর দায়িত্ব সে তার মায়ের দেখভাল করবে।সে যদি কোনো মহিলাকে মায়ের খেদমতের জন্য রেখে দেয়, তাহলে সে দায়মুক্ত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...