আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। হুজুর আমি একজন ছেলে। অবিবাহিত। জেনেরাল লাইনে পড়াশোনা করেছি। মাঝে মাঝে শুনতাম বিভিন্ন ওয়াজে যে শিরকি গান গাওয়া যাবে না। তখন বিষয় টা এত পাত্তা দিতাম না। মনে করতাম কত হাদিস কত ভাবে বানায় অনেকে।  কিন্তু এখন আমি মোটামুটি আল্লাহর রহমতে অনেক কিছু মানার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা ছোট বেলা থেকে এমন কিছু কিছু শিরকি গান শুনেছি যেগুলো আমরা না চাইলেও আনমনে গেয়ে ফেলি। আগেও অনেক গেয়েছি। না জেনে পাপ করলে তো আল্লাহ মাফ করে দেন। তখন গানের মানে না বুঝেই গুন গুন করেছি। গেয়েছি। কিন্ত এখন এগুলো শিরকি গান মুখ দিয়ে বের হয়ে হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগে। অস্থির লাগে।

১) আমি যখন থেকে ঠিক করেছি আমি এসব গান গাইবো না, তখন থেকেই মুখে চলে আসে। অনেক কষ্ট করে আটকে রাখি। তখন মনে মনে গান বলতে থাকি। আমি আজকেও একটা শিরকি গান মনের অজান্তেই গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলাম। এমন একটা লাইন বলেছি আল্লাহ কে নিয়ে, যেটা আমি বিশ্বাস করি না। মানি না। আমি সাথে সাথে নাউজুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেছিলাম। যে আমি এটা কেন গাইলাম। এখন এই কাজের জন্য কি আমার ইমান চলে গেছে? আমার এখন পর্যন্ত সব আমল বাদ হয়ে গেছে?

২) আমি একটা কাজের জন্য আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানানোর জন্য কিছু রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ত করি। এই কথাটা আল্লাহ ছাড়া কাউকে জানাতে চাইনি। যেহেতু আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাতে পড়া। এখন প্রশ্ন না করে উপায় নাই।  আর সেই নামাজ পড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আজকেই এই শিরকি গানের জন্য আমার যদি আগের সব আমল বাদ হয়ে যায়, তাহলে কি আমার আবার প্রথম থেকে যত রাকাত নামাজ এর নিয়ত করেছিলাম সেটা আবার পড়বো? নাকি যে কয়  রাকাত এখনো  বাকি আছে সেটা পড়বো?
দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (709,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যেহেতু অনিচ্ছাকৃত গানের এই লাইনগুলো মুখ থেকে উচ্ছারিত হচ্ছে, তাই এদ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন।
"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".

(২) ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন।
(৩) যে কয় রাকাত এখনো বাকি আছে সেগুলো এখন পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...