আসসালামু আলাইকুম হুজুর। হুজুর আমি একজন ছেলে। অবিবাহিত। জেনেরাল লাইনে পড়াশোনা করেছি। মাঝে মাঝে শুনতাম বিভিন্ন ওয়াজে যে শিরকি গান গাওয়া যাবে না। তখন বিষয় টা এত পাত্তা দিতাম না। মনে করতাম কত হাদিস কত ভাবে বানায় অনেকে। কিন্তু এখন আমি মোটামুটি আল্লাহর রহমতে অনেক কিছু মানার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা ছোট বেলা থেকে এমন কিছু কিছু শিরকি গান শুনেছি যেগুলো আমরা না চাইলেও আনমনে গেয়ে ফেলি। আগেও অনেক গেয়েছি। না জেনে পাপ করলে তো আল্লাহ মাফ করে দেন। তখন গানের মানে না বুঝেই গুন গুন করেছি। গেয়েছি। কিন্ত এখন এগুলো শিরকি গান মুখ দিয়ে বের হয়ে হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগে। অস্থির লাগে।
১) আমি যখন থেকে ঠিক করেছি আমি এসব গান গাইবো না, তখন থেকেই মুখে চলে আসে। অনেক কষ্ট করে আটকে রাখি। তখন মনে মনে গান বলতে থাকি। আমি আজকেও একটা শিরকি গান মনের অজান্তেই গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলাম। এমন একটা লাইন বলেছি আল্লাহ কে নিয়ে, যেটা আমি বিশ্বাস করি না। মানি না। আমি সাথে সাথে নাউজুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেছিলাম। যে আমি এটা কেন গাইলাম। এখন এই কাজের জন্য কি আমার ইমান চলে গেছে? আমার এখন পর্যন্ত সব আমল বাদ হয়ে গেছে?
২) আমি একটা কাজের জন্য আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানানোর জন্য কিছু রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ত করি। এই কথাটা আল্লাহ ছাড়া কাউকে জানাতে চাইনি। যেহেতু আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাতে পড়া। এখন প্রশ্ন না করে উপায় নাই। আর সেই নামাজ পড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আজকেই এই শিরকি গানের জন্য আমার যদি আগের সব আমল বাদ হয়ে যায়, তাহলে কি আমার আবার প্রথম থেকে যত রাকাত নামাজ এর নিয়ত করেছিলাম সেটা আবার পড়বো? নাকি যে কয় রাকাত এখনো বাকি আছে সেটা পড়বো?
দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর। আসসালামু আলাইকুম।