আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমার স্বামী একজন সরকারি চাকরিজীবী। যে অফিসে চাকরি করেন সেটা সরকারি নিয়মে নয়টা থেকে শুরু এবং ছয়টায় শেষ হওয়ার কথা। প্রতিদিন তার অফিসে পৌঁছাতে এক-দেড় ঘন্টা লেইট হয়। আবার অফিসের কাজ শেষ করতে ঠিকই নির্ধারিত সময়ের থেকে দুই-তিন ঘন্টা বেশি থাকতে হয়। কখনো কখনো সরকারি ছুটির দিনও অফিস করতে হয়। বাড়তি পরিশ্রমের জন্য কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এখন, সকালে যে সময়টুকুতে তিনি দেরি করে যাচ্ছেন, তার জন্য কি তার ঐ সময়ের বেতন হালাল হবে না? দেরি করে গেলেও তিনি তার দায়িত্ব ঠিকই আঞ্জাম দেন। যদি ওই সময়ের বেতন হালাল না-ই হয়, তাহলে তিনি যে ওভারটাইম করেও বেতন পান না সেটার কি হবে? ওভারটাইমের বেতন হিসাবে কি সকালের বেতন নেওয়া যাবে না?
২. বৈঠক কিংবা আমল শেষে পড়ার জন্য একটা দুয়া মুখস্থ করেছি। সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা। এই দুয়া পড়লে বৈঠকের ত্রুটিবিচ্যুতি, আমলের ভুল এ সমস্ত কিছু মাফ করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বৈঠকে তো অনেকসময় গীবত করা হয়। এই দুয়াতে কি গীবতের গুনাহও মাফ হয়ে যায়?

৩.রমজানের কাযা রোজা আদায়ের ক্ষেত্রে কোন রোজার কাজা আদায় হচ্ছে তা নিয়তের মধ্যে নির্দিষ্ট করে নিতে হয় বলে জেনেছি। এখন আমি কিভাবে তা নির্দিষ্ট করব? ২০২৪ সালের ২৫ রমজানের রোজার কাজা আদায় করছি, এভাবে? নাকি সালটাও আরবিতে নিয়তের মাঝে মাঝে আনতে হবে? ১৪৪৫ হিজরির ২৫ রমজান, এভাবে?

1 Answer

0 votes
by (710,670 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অভার টাইমের যদি কোনো বেতন না থাকে, তাহলে লেইটে অফিসে যাওয়ার জন্য বেতনের কোনো অংশই হারাম হবে না। 

(২)
বৈঠকের শেষের দু'আ দ্বারা গীবতের গোনাহ মাফ হবে না। তবে ঐ সব গীবত যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পর্যন্ত পৌছাবে না, সেগুলো মাফ হতে পারে।নতুবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। 
(৩)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,
ভাবানুবাদঃ-উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে  আদায় করে নিবে।

যেমন, ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)
এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।
উমুরী কা’যার নামায সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জীবনে যত রোযা কাযা হয়েছে, এর মধ্য থেকে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ রোযা এখন রাখতেছি। এভাবে নিয়ত করে আদায় করলেই হবে। নির্দিষ্ট করে তিন তারিখ বলা লাগবে না।মুখ দিয়ে উচ্চারণ করাও শর্ত নয় বরং মনের মধ্যে থাকলেই হবে। কা'যা রোযা আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...