আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমার স্বামী একজন সরকারি চাকরিজীবী। যে অফিসে চাকরি করেন সেটা সরকারি নিয়মে নয়টা থেকে শুরু এবং ছয়টায় শেষ হওয়ার কথা। প্রতিদিন তার অফিসে পৌঁছাতে এক-দেড় ঘন্টা লেইট হয়। আবার অফিসের কাজ শেষ করতে ঠিকই নির্ধারিত সময়ের থেকে দুই-তিন ঘন্টা বেশি থাকতে হয়। কখনো কখনো সরকারি ছুটির দিনও অফিস করতে হয়। বাড়তি পরিশ্রমের জন্য কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এখন, সকালে যে সময়টুকুতে তিনি দেরি করে যাচ্ছেন, তার জন্য কি তার ঐ সময়ের বেতন হালাল হবে না? দেরি করে গেলেও তিনি তার দায়িত্ব ঠিকই আঞ্জাম দেন। যদি ওই সময়ের বেতন হালাল না-ই হয়, তাহলে তিনি যে ওভারটাইম করেও বেতন পান না সেটার কি হবে? ওভারটাইমের বেতন হিসাবে কি সকালের বেতন নেওয়া যাবে না?
২. বৈঠক কিংবা আমল শেষে পড়ার জন্য একটা দুয়া মুখস্থ করেছি। সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা। এই দুয়া পড়লে বৈঠকের ত্রুটিবিচ্যুতি, আমলের ভুল এ সমস্ত কিছু মাফ করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বৈঠকে তো অনেকসময় গীবত করা হয়। এই দুয়াতে কি গীবতের গুনাহও মাফ হয়ে যায়?
৩.রমজানের কাযা রোজা আদায়ের ক্ষেত্রে কোন রোজার কাজা আদায় হচ্ছে তা নিয়তের মধ্যে নির্দিষ্ট করে নিতে হয় বলে জেনেছি। এখন আমি কিভাবে তা নির্দিষ্ট করব? ২০২৪ সালের ২৫ রমজানের রোজার কাজা আদায় করছি, এভাবে? নাকি সালটাও আরবিতে নিয়তের মাঝে মাঝে আনতে হবে? ১৪৪৫ হিজরির ২৫ রমজান, এভাবে?