ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অভার টাইমের যদি কোনো বেতন না থাকে, তাহলে লেইটে অফিসে যাওয়ার জন্য বেতনের কোনো অংশই হারাম হবে না।
(২)
বৈঠকের শেষের দু'আ দ্বারা গীবতের গোনাহ মাফ হবে না। তবে ঐ সব গীবত যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পর্যন্ত পৌছাবে না, সেগুলো মাফ হতে পারে।নতুবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে।
(৩)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,
ভাবানুবাদঃ-উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে আদায় করে নিবে।
যেমন, ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)
এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জীবনে যত রোযা কাযা হয়েছে, এর মধ্য থেকে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ রোযা এখন রাখতেছি। এভাবে নিয়ত করে আদায় করলেই হবে। নির্দিষ্ট করে তিন তারিখ বলা লাগবে না।মুখ দিয়ে উচ্চারণ করাও শর্ত নয় বরং মনের মধ্যে থাকলেই হবে। কা'যা রোযা আদায় হবে।