ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/27501/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
কোয়ান্টাম মেথড/মেডিটেশনের অনেক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের খেলাফ।
তার মধ্যে অন্যতম হল, তারা বলে যে মন সকল শক্তির উৎস চেতনা অবিনশ্বর, প্রাণ রহস্যের
চাবিকাঠি।’
,
মেডিটেশনের এ বিশ্বাস ও
দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্কারভাবে কুফর ও শিরক। কেননা, ইসলাম কেবল আল্লাহকেই
সকল শক্তির মূল উৎস ও সাফল্যের চাবিকাঠি মনে করে। অন্য কোন কিছু সকল শক্তির উৎস, অবিনশ্বর, প্রাণ রহস্যের
চাবিকাঠি মনে করা বা বিশ্বাস করা আল্লাহর সাথে সুস্পষ্ট শিরক। আল্লাহ বলেন,
وَمِنَ
النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ
وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ
إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ
شَدِيدُ الْعَذَابِ
আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত
করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর
প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা
পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা
শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। (সূরা বাকারা ১৬৫)
,
কোয়ান্টাম মেথড / মেডিটেশনের লক্ষ্য হ’ল অন্তর্গুরুকে পাওয়া।
তাদের ভাষায়, ‘মেডিটেশনের মাধ্যমেই আপনি সংযোগ সাধন করতে পারেন আপনার ‘অন্তরের আমি’র সাথে, আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে।
,
মেডিটেশনের এই দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ।
মূলতঃ ‘অন্তরের আমি’ হল নফসে আম্মারা; যার অনুসরণের পরিণতি হল জাহান্নাম। এদেরকে লক্ষ্য করেই আল্লাহ
বলেন,
أَرَأَيْتَ
مَنِ اتَّخَذَ إِلَٰهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا-أَمْ
تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ ۚ إِنْ هُمْ إِلَّا
كَالْأَنْعَامِ ۖ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا
আপনি কি দেখেছেন ঐ ব্যক্তিকে, যে তার প্রবৃত্তিকে
উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে
করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ
জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। (সূরা ফুরক্বান ৪৩-৪৪)
,
কোয়ান্টাম মেথড সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/6088/
,
সুতরাং এ থেকে বেঁচে থাকা ঈমানের অপরিহার্য দাবী।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
একজন মুসলমানের জন্য ঈমান বিধ্বংসী জিনিসসমূহ
জানা এবং তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। সুতরাং যে বিষয়গুলো সাধারণত সবাই জানে তা যদি
কেউ তার অজ্ঞতার কারণে না জানে তাহলে সেটা ওজর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং এই
ক্ষেত্রেও ঈমান বিধ্বংসী কাজের সাথে সে ব্যক্তি জড়িত হলে তারও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।