আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আফওয়ান উস্তায, প্রশ্নগুলো একটু অদ্ভুত। আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে মাফ করুন।

১. জান্নাতে কি মাহরাম-নন মাহরামের বিধান থাকবে? আল্লাহ'র রাসূল ﷺ,  সাহাবায়ে কেরামগন (রদ্বিয়াল্লহু 'আনহুম), পূর্ববর্তী সালফে সালেহীনগন, মন দিল লাগিয়ে যাদের গল্প শুনেছি, তাদের জীবনী পরে অনুপ্রাণিত হয়েছি বারংবার। মেয়ে হয়ে তাদের সাথে দেখা করতে পারবো?

২. অনেকে সোর্স বিহীন একটা কথা বলেন- মৃত্যুর পরে আপন ভাইবোনের আর সাক্ষাৎ হবেনা। একথা কি সঠিক?

৩. কটু গন্ধযুক্ত খাবার (শুটকি, শিদল) একপ্রকার পঁচানোর মাধ্যমেই সংগ্রহ করা হয়। শুনেছি আল্লাহ'র রাসূল ﷺ পঁচা, বাসি খাবার পছন্দ করতেন না। তাহলে এরকম গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই কি উত্তম?

1 Answer

0 votes
ago by (667,800 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জান্নাতে দুনিয়ার ন্যায় বিধান থাকবেনা।
সুতরাং জান্নাতে মাহরাম-নন মাহরামের বিধান থাকবেনা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ

“আমি তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেব, তারা ভাই ভাই হয়ে সিংহাসনে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে বসবে।”
(সূরা হিজর, 15:47)

ব্যাখ্যা: জান্নাতে মানুষের অন্তরে কোনো কুপ্রবৃত্তি, হারাম ইচ্ছা, ঈর্ষা বা বিদ্বেষ থাকবে না। তাই গুনাহের আশঙ্কা না থাকায় মাহরাম-নন মাহরামের বিধানও প্রয়োজন হবে না।

 فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
“তাদের মধ্যে থাকবে দৃষ্টি সংযত নারীরা, যাদেরকে তাদের আগে কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি।”
(সূরা রহমান, 55:56)

ব্যাখ্যা: জান্নাতে পুরুষদের জন্য তাদের স্ত্রী ও হূর থাকবে। এই সম্পর্কগুলো হালাল ও পবিত্র হবে। অন্য নারীদের প্রতি খারাপ দৃষ্টি বা হারাম সম্পর্কের প্রবণতা থাকবে না।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“জান্নাতবাসী প্রত্যেকে ৭২ জন হূর এবং তার দুনিয়ার স্ত্রী পাবে।”
(তিরমিযী, হাদীস 2562)
অর্থ: জান্নাতে স্ত্রী ও হূরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে, যা পবিত্র ও হালাল। অন্য কোনো সম্পর্কের জন্য হারাম বা মাহরামের বিধান থাকবে না।

নবী ﷺ বলেছেন:
“জান্নাতবাসীদের অন্তর হবে এক হৃদয়ের মতো, সেখানে বিদ্বেষ থাকবে না।”
(বুখারি, মুসলিম)

অর্থ: কারো মনে কারো প্রতি হারাম ইচ্ছা থাকবে না। তাই মাহরাম-নন মাহরামের বিধান প্রয়োজন হবে না।

(০২)
এ কথা সঠিক নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
যদি আপনার কাছে ভালো মনে না হয়,সেক্ষেত্রে এড়িয়ে চলবেন।

আর যদি এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে এড়িয়ে চলা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...