মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ
“আমি তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেব, তারা ভাই ভাই হয়ে সিংহাসনে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে বসবে।”
(সূরা হিজর, 15:47)
ব্যাখ্যা: জান্নাতে মানুষের অন্তরে কোনো কুপ্রবৃত্তি, হারাম ইচ্ছা, ঈর্ষা বা বিদ্বেষ থাকবে না। তাই গুনাহের আশঙ্কা না থাকায় মাহরাম-নন মাহরামের বিধানও প্রয়োজন হবে না।
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
“তাদের মধ্যে থাকবে দৃষ্টি সংযত নারীরা, যাদেরকে তাদের আগে কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি।”
(সূরা রহমান, 55:56)
ব্যাখ্যা: জান্নাতে পুরুষদের জন্য তাদের স্ত্রী ও হূর থাকবে। এই সম্পর্কগুলো হালাল ও পবিত্র হবে। অন্য নারীদের প্রতি খারাপ দৃষ্টি বা হারাম সম্পর্কের প্রবণতা থাকবে না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“জান্নাতবাসী প্রত্যেকে ৭২ জন হূর এবং তার দুনিয়ার স্ত্রী পাবে।”
(তিরমিযী, হাদীস 2562)
অর্থ: জান্নাতে স্ত্রী ও হূরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে, যা পবিত্র ও হালাল। অন্য কোনো সম্পর্কের জন্য হারাম বা মাহরামের বিধান থাকবে না।
নবী ﷺ বলেছেন:
“জান্নাতবাসীদের অন্তর হবে এক হৃদয়ের মতো, সেখানে বিদ্বেষ থাকবে না।”
(বুখারি, মুসলিম)
অর্থ: কারো মনে কারো প্রতি হারাম ইচ্ছা থাকবে না। তাই মাহরাম-নন মাহরামের বিধান প্রয়োজন হবে না।