আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
• আমি যখন দ্বীনের পথে ছিলাম না আব্বুর সাথে আমার সম্পর্ক মোটামটি ভালোই ছিল । আমাদের ফ্যামিলি অনেক মডার্ন। আমিই একমাত্র মেয়ে যে পর্দা করা শুরু করেছিলাম সবাই তখন মনে করেছে আমি কোনও দলে চলে গেসি কিনা !
• আসলে দ্বীনি পরিবারে বিয়ে দিবে নাকি ওইটাও অনেক সন্দেহ কারণ এগুলোর একটাও আমার বাবার পরিবারে নাই উল্টো এগুলো না করে মডার্ন চলাফেরা কে উনার প্রাউড এর বিষয় মনে করেন ।

• আমার একটা ছেলেকে পছন্দ ছিলো সেইও আমাকে পছন্দ করতো কিন্তু আল্লাহর জন্য সে আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখে নাই  । তখন আমার এই বুঝ টা ছিলো না পর্দা কি এই সেই
এখন ওই ছেলে আমাকে অনেক মাস পর মেসেজ দিয়েছে বুঝ দিয়েছে , আমি এমন মেয়ে যে অন্যের বুঝ নেই না কিন্তু আমি এরপর অনেক রিসার্চ করেছি আর আল্লাহর পথ খুঁজে পাইসিলাম আর পর্দা করা শুরু করসিলাম ।

এরপর ছেলেটা আমার সাথে কোনও কনট্যাক্ট রাখে নাই তার বোনকে দিয়ে আম্মুকে কল দেওয়াইসিলও আর বিয়ের প্রপোজাল দিয়েছিলো , আম্মু বিষয়টা আব্বুকে জানাই এরপর থেকে আব্বু আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দে একদম কিন্তু আমি বলতে চাইসিলাম তাও আব্বু কেনো জানি মুখ ফিরাই নেই
আমি তো কোনও খারাপ কাজ করি নাই ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী আব্বুর কাছে প্রপোসাল পাঠাইসে ওই ছেলেও ।


১. এই ক্ষেত্রে আব্বুর এই বিহেভিয়ার কতটুক জায়েজ ?

২. এখানে কি আব্বু আমার হক নষ্ট করতেসে না ?

এখন আমার আর আব্বুর কথা বলা হয় না প্রায় ৩/৪ বছর
৩. আম্মু বলসে আমি যেন ওই ছেলেকে বিয়ে করে রাখি পরে আবার বিয়ের সময় হইলে সবার সামনে বিয়ে নরমালি যেমন হয় তেমন হবে ( আম্মু ছেলের সম্পর্ক অনেকজন দিয়ে খবর নেওয়াইসে ভালো রিভিউ আসছে তাই আম্মু এই ডিসিশন নিয়েছিল ) , আব্বু অনেক টেরা সব সময় নিজের ভাইদের ছেলে মেয়ে কে প্রায়োরিটি দেই অনেক দেখতে পারে ওই জায়গাই আমাদের সাথে তার বিহেভিয়ার ভালো না , হাসিমুখে মানুষের সাথে কথা বলে কিন্তু আমাদের সাথে বলে না । স্ট্যাটাস নিয়ে বেশি অহংকার করেন ।

৪. বিয়ে করেও নিয়েছি বিয়ের দিন শুধু আম্মু ছিলো আর আমার কয়েকজন বিশ্বস্ত লোক ছিলো ( ছেলের পরিবারের সবাই ছিলো আর জানে ) , আমার পরিবারের শুধু আম্মুই জানে । এই ক্ষেত্রে বিয়ে টা তোহ হানাফি মাজহাব অনুযায়ী হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখানে কি আব্বুর হক আমি নষ্ট করেছি ?
ছেলে আলহামদুলিল্লাহ এখনো দ্বীনের পথে আছেন আর আমাকেও অনেক উৎসাহ দেন প্র্যাকটিস নিয়ে , আমাকে আরবি শুদ্ধ করে পড়ার কোর্স ও এডমিট করাইসে ( যেখানে আব্বু শুধু দুনিয়াবি পড়ালিখার জন্য ক্লাস ০৫ থেকে আমার হুজুরও বাদ করে দিয়েছিলো আমি কখনও কোরআন খতম দেই নাই এখন আলহামদুলিল্লাহ শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টায় আছি, শিখতেসি)।

1 Answer

0 votes
ago by (667,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا، وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ

আবূ আইয়ূব আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’ জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’ জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।
(বুখারী, মুসলিম,আবু দাউদ ৪৯১১)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার ব্যবহার সমর্থনযোগ্য নয়।

(০২)
তিনি যদি দ্রুত কোন দ্বীনদার পাত্রের সাথে আপনার বিবাহ দেন, সেক্ষেত্রে আপনার হক নষ্ট হবে না।

অন্যথায় এক্ষেত্রে আপনার দ্বারা যদি কোন গুনাহের কাজ ঘটে যায়, এর জন্য আপনার বাবা দায়ী থাকবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
এক্ষেত্রে কারো হক নষ্ট হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...