আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in পবিত্রতা (Purity) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম
উস্তায আমার বিষয় টি খুব জটিল লিখে বুঝাতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না, ফোন কলে বলতে পারলে ভালো হত।তবুও লিখে বুঝানোর চেষ্টা করছি এক্টু ভালো ভাবে বিষয় টি দেখবেন ইং শা আল্লহ।
আমার পিরিয়ড একদম রেগুলার আলহামদুলিল্লাহ।৬ আগস্ট আমার পিরিয়ড শুরু হয়, ৭ দিনে ভালো হয় তারপর নামাজ শুরু করি।মোটামুটি ১২/১৩ তারিখের দিকে নামাজ শুরু করি।১৬ তারিখ সহবাসের কারণে ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়।পিল খাওয়ার ইফেক্ট হিসেবে ২৩ আগস্ট আমার অল্প ব্লিডিং শুরু হয়।আর এই অল্প অল্প ব্লিডিং ২ তারিখ পর্যন্ত চলতেই থাকে।অবশ্য ১/২ তারিখের দিকে খুবই কমে আসে এবং এত সামান্য যে মনে হচ্ছিল শেষের দিকে প্রায় ব্লিডিং। একদম ভালো হওয়ার আগেই ২ তারিখে দেখি ব্লিডিং ফ্লো কিছুটা বেড়ে গেছে।৩ তারিখ আরো বেড়ে গেছে।৩ তারিখ পেট ব্যথা আর ব্লিডিং ফ্লো দেখে মনে হলো আসল পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে।ডাক্তারের মতে,ইমারজেন্সি পিল খেলে শরীরে হরমোনাল চেঞ্জ আসে এজন্য আর্টিফিশিয়াল ভাবে ব্লিডিং হয় তারপর আসল পিরিয়ড শুরু হয়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,পিল খাওয়ার জন্য যে ব্লিডিং হয় সেটা লাস্ট পিরিয়ড শেষ হওয়ার ১৫ দিন আগেই তখন আমি অসুস্থতা ভেবে নামাজ চালিয়ে গেছি, পরবর্তীতে যখন ২ তারিখের দিকে ফ্লো বেড়ে যায় তখন পিরিয়ড ভেবে ৩ তারিখ থেকে নামাজ অফ রেখেছি।প্রশ্ন হচ্ছে,এই অবস্থায় আমার কি নামাজ চালিয়ে যেতে হবে???

পিল খাওয়ার জন্য যে ব্লিডিং শুরু হয় ১০/১১ দিন পর্যন্ত সেদিন গুলো তে নামাজ পড়া ঠিক হয়েছে??? আর এখন মেইন পিরিয়ড ভেবে যে নামাজ অফ রেখেছি সেটা কি ঠিক হচ্ছে??এই মেইন পিরিয়ডের ব্লাড ৭/ ৮ দিনেও ভালো না হলে কবে নামাজ শুরু করব??

1 Answer

0 votes
by (677,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১২ ই আগস্ট আপনি পবিত্র হয়েছেন, এক্ষেত্রে ১৩ আগস্ট থেকে নিয়ে মোট ১৫ দিন অর্থাৎ ২৭ শে আগস্ট পর্যন্ত আপনার পবিত্রতা দিন ধরতে হবে। ২৮ আগস্ট থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন।

৬ সেপ্টেম্বর বা তার আগেই যদি ব্লিডিং বন্ধ হয়,সেক্ষেত্রে ২৮ আগস্ট থেকে সেই দিন দিন পর্যন্ত হায়েজ ধরতে হবে। এ সময় নামাজ বন্ধ রাখতে হবে।

৭ সেপ্টেম্বরে বা এরপরেও যদি বিল্ডিং হয়, সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসগুলোতে আপনার হায়েজের অভ্যাস যে কয়দিন ছিল, এই মাসেও আপনি সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন। বাকি দিনগুলো ইস্তেহাজা ধরে নামাজ চালিয়ে যাবেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...