আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
389 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
আমার এক বান্ধবী হেদায়াতের পথে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ,সে আগে হারাম সম্পর্কে ছিলো,এখন সে দ্বীনের পথে এসেছে,সে তার সাবেক প্রেমীককে বিয়ে করতে চায় যদিও এখন কোন সম্পর্কে নাই,,কিন্তু ছেলের পরিবারে এখন রাজি না,ছেলের পড়াশোনা শেষ হলে রাজি তখন আপত্তি নাই,আমার বান্ধবীর পরিবারও রাজি তবে ছেলে সময় চাচ্ছে তাই সময় দিতে রাজি তবে বিয়ে দিতে নয়,,কিন্তু দ্বীনের পথে অটল থাকতে তাদের বিয়ে করা জরুরি,,দুই পরিবারই রাজি কিন্তু এখন রাজি না,পরিবারে তেমন প্র্যাকটিসং ইসলাম না,,সমাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়,,এমন অবস্তায় তারা কি অভিভাবক ছাড়া বান্ধবী/বন্ধু সাক্ষী রেখে বিয়ে করতে পারবে? আর আমি কি এই বিয়েতে সাক্ষী থাকতে পারি? যেহেতু তারা দ্বীনের ক্ষাতিরে বিয়েটা করতে চাচ্ছে। তাদের বিয়ে জায়েজ হবে? আর হলে কি গুনাহ হবে? যেহেতু পরিবার সম্মমতি আছে তবে এখন চাচ্ছে না বুঝতেে চাচ্ছে না।

1 Answer

+2 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
,
یشترط وصف الذکورة حتی ینعقد بحضور رجل وامرأتین (ہندیہ)
সারমর্মঃ
পুরুষ সাক্ষী হওয়া শর্ত নয়,একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে পারবে।
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারা কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচতে উপরোক্ত শর্ত অনুযায়ী বিবাহ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে আপনিও সাক্ষী হতে পারবেন,তবে সাক্ষীর ক্ষেত্রে দুই জন যেহেতু এক পুরুষের সমান হয়,তাই একজন পুরুষ সাক্ষী থাকলে আপনার সাথে আরো একজন মহিলার সাক্ষী হিসেবে থাকতে হবে।
আর যদি শুধু মহিলারাই সাক্ষী হিসেবে থাকতে চায়,তাহলে চারজন সাক্ষি হিসেবে থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এক্ষেত্রে উক্ত বিবাহকে গোপন রেখে পরবর্তীতে পরিবারের সম্মতি ক্রমে পুনরায় বিয়ে করা যাবে কিনা ?
From a brother.
আর সাক্ষী হতে আমার বয়স কত হতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...