وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " شَرُّ الْكَسْبِ مَهْرُ الْبَغِيِّ وَثَمَنُ الْكَلْبِ وَكَسْبُ الْحَجَّامِ " .
মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... রাফি ইবনু খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, নিকৃষ্ট উপার্জন বেশ্যা বৃত্তির উপার্জন এবং কুকুরের মূল্য আর রক্ত মোক্ষণকারীর (শিঙ্গা লাগানোর) আয়।
(মুসলিম শরিফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৮৬৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৮৬৫)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَعْرُوفُ بْنُ سُوَيْدٍ الْجُذَامِيُّ، أَنَّ عُلَىَّ بْنَ رَبَاحٍ اللَّخْمِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ ثَمَنُ الْكَلْبِ وَلاَ حُلْوَانُ الْكَاهِنِ وَلاَ مَهْرُ الْبَغِيِّ " .
আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কুকুরের মূল্য গ্রহণ, গণকবৃত্তির মাধ্যমে উপার্জন এবং যিনাকার স্ত্রীলোকের যিনার উপার্জন হালাল নয়।
(আবু দাউদ ৩৪৪৮ ইফাঃ)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। এই বক্তব্য ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ব্যক্তিগত মতামত, কিন্তু তা চূড়ান্ত মাযহাবের ফতোয়া নয়। বরং তার দুই মহান شاگرد – ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) – এ বিষয়ে তার সাথে একমত নন, এবং তাদের মতই মু'তামাদ তথা গ্রহণযোগ্য মাযহাবের ফতোয়া হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ব্যক্তিগত মতামত
তার মতে, যদি কোনো নারী চুক্তিভিত্তিক ইজারার (মজুরি) ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে (যদিও তা জিনা হয়), তবে চুক্তির কারণে মজুরি দাবী বৈধ।
কারণ তিনি মজুরিকে ইজারার সাথে সম্পর্কিত করে দেখেছেন, যদিও কাজটি হারাম।
এই মতকে ফিকহের ভাষায় বলা হয়:
"ما أخذته الزانية إن كان بعقد الإجارة فحلال عند أبي حنيفة"
رد المحتار على الدر المختار (٦/٤٦)
(যেনাকারী নারী ইজারা চুক্তির মাধ্যমে কিছু গ্রহণ করলে, তা হালাল ইমাম আবু হানিফার নিকট।)
★ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-এর মত
তারা বলেন:
এই অর্থ নেওয়া হারাম, কারণ কাজটাই হারাম, এবং ইজারাও বৈধ নয়।
তাদের যুক্তি:
হারাম কাজের জন্য কোনো চুক্তি শরীয়ত স্বীকৃত নয়।
তাই এর বিনিময়ে কোনো মজুরি হালাল হতে পারে না।
এই মতই মাযহাবের মু'তামাদ্দ গ্রহণযোগ্য ফতোয়া হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
রেফারেন্সঃ-
الفتاوى الهندية (٤/١١٢):
"ولو زنى بأجرة فالأجر حرام بالإجماع".
(যদি কেউ মজুরির বিনিময়ে জিনা করে, তবে ঐ মজুরি হারাম – এ ব্যাপারে ইজমা আছে।)
البحر الرائق (٨/٢٣٣):
"لأن الإجارة وقعت على منفعة محرمة فلا تستحق الأجرة بالإجماع".
মর্মার্থঃ-
যেহেতু ইজারাটি নিষিদ্ধ সুবিধার জন্য ছিল, তাই সর্বসম্মতিক্রমে সে ভাড়াটির হকদার নয়।