আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
8 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited ago by
১।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। স্বামী বেচে আছে।রাতে সূরা মূলক পাঠ করার সময় আরেকবার স্বামীর জন্য ও কি পাঠ করা যাবে?  মানে স্বামী কি পাবে এর সাওয়াব মানে স্বামীর ও কবরের আজাব না হওয়ার উদ্দেশ্য পড়া যাবে?

২।
https://drive.google.com/file/d/1--X5B0N9oP8sWS8TwfAFZhUN7KIPCf0V/view?usp=drivesdk

এটা বাসায় আছে প্রায় সব রুমে।কোন সমস্যা হবে কি?আগে বাসায় যারা ছিল তারা রেখেছিল।আবার পরে দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

৩। কেউ কবিরা গুনাহ গার  গুণাহ করা অবস্থায় মারা গেলে কি সূরা মূলক পড়লে তার কবরের আজাব হবে  নাকি হবে না?

1 Answer

0 votes
ago by (666,150 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক। 
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা রহঃ বলেন) হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) . 

হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না। 

সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর রওয ২২৭, মিশকাত তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خَالِدٍ عَامِرَ بْنَ جَشِيبٍ وَبَحِيرَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثَانِ أَنَّ خَالِدَ بْنَ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ الم تَنْزِيلُ تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِي الْقَبْرِ تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِي عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَيُشْفَعُ لَهُ فَتَمْنَعُهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَفِي تَبَارَكَ مِثْلَهُ فَكَانَ خَالِدٌ لَا يَبِيتُ حَتَّى يَقْرَأَ بِهِمَا 

খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (“আলিফ লা-ম, মী-ম তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] তার পাঠকের জন্য কবরে বিতর্ক করবে। সে বলবে: হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ হয়ে থাকি, তবে আপনি তার ব্যাপারে আমার শাফা’আত কবুল করুন। আর আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ না হয়ে থাকি, তবে আপনি আপনার কিতাব থেকে আমাকে মুছে দিন। আর এটি তার উপর ডানাবিস্তারকারী পাখির মতো হবে। এরপর সে তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করবে। এভাবে সে তাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আর “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক: ১) এর সম্পর্কে অনুরূপ (বর্ণনা করেছেন)। আর খালিদ ইবনু মা’দান এ দু’টি পাঠ না করে রাত্রি যাপন করতেন না।
(সুনানে দারেমী ৩৪৪৯)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এভাবে পড়া যাবে।
তবে এর দরুন স্বামী হাদীসে নির্দেশিত ফজিলত এর অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(০২)
মনে হচ্ছে কোনো সমস্যা হবেনা।
তদুপরি আপনাদের জীবনে সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে তাহা উঠিয়ে ফেলতে পারেন।

(০৩)
এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করলে তার কবরের আজাব হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...