আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
8 views
ago in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার কিছু সম্পদ ছিলো যার উপর যাকাত ও কুরবানি ওয়াজিব ছিলো, কিন্তু সূক্ষ্ণভাবে সব মাসআলা জানা না থাকায় বিগত বছরগুলোতে আমার দ্বারা কুরবানি আদায় হয়নি কিন্তু আমার বাবা মায়ের পক্ষ হতে যে গরু কুরবানি হতো, তাতে আমার পক্ষ হতেও এক টা ভাগ উনারা কুরবানিতে  শরীক করতেন। আমি নিশ্চিত নই যে সেই কুরবানি কি আমার পক্ষ থেকে নফল হিসেবে আদায় হয়েছে কি না, নাকি ওয়াজিব হিসেবে ধরা যাবে।
যেহেতু আমি মাসআলা জানতাম না বিধায় নিজের ওয়াজিব ইবাদাত হিসেবে তখন কিছু করিনি, তাই আমি জানিনা আমার পিতামাতা কি ওয়াজিব হিসেবে তা আমার পক্ষ হতে আদায় করেছেন নাকি নফলের নিয়তে?

১. এখন কি আমার উপর ওই বছরগুলোর কুরবানির কাফফারা আসবে? নাকি আদায়কৃত কুরবানির হিসাব আমার জন্য যথেষ্ট হবে?


২. কারো কাছে জমাকৃত মোট সম্পদের পরিমাণ  রয়েছে ৩ লাখের উপর, কিন্তু সূক্ষ্ণভাবে স্বর্ণের বাজারদর যাচাই না হবার কারণে যদি কেউ একটু বাড়িয়ে হিসাব করে ৪ লাখ টাকা ধরে যাকাত আদায় করে, ১০ হাজার টাকার যাকাত দিয়ে দেয়, আর এই নিয়ত রাখে যে, যদি যাকাত আদায়ের পর বাড়তি কিছু দান হয়ে হয়ে থাকে তো সেটা যেন নফল সাদাকা হিসেবে যায়। তবে কি এই ক্ষেত্রে কোন ভূল আছে? নাকি এভাবেও যাকাত আদায় হয়ে যায়?

উত্তর জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

যাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
ago by (80,850 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/81414/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

,

শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

ولو تركت التضحية ومضت ايام النحر تصدق….. بقيمتها غنى شراها اولا لتعلقها بذمته بشرائها اولا، والمراد بالقيمة قيمة شاة تجزئ فيها وتحته فى الشامى قيمة شاة وسط (الدر المختار مع الشامى-9/463-465

সারমর্মঃ- কেহ যদি কুরবানী ছেড়ে দেয়,এবং কুরবানীর নির্দিষ্ট দিন গুলি অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করবে।

,

শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

পুরো টাকা একবারে সাদাকা করা আবশ্যক নয়। অল্প অল্প করে যেমন ৫০০ টাকা/ ১০০০ টাকা এভাবেও সাদকাহ করা যাবে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতা-মাতাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, তারা আপনার পক্ষ থেকে নফল কুরবানী করেছে না ওয়াজিব কুরবানী? তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যদি নফল কুরবানী করে থাকে তাহলে শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

পুরো টাকা একবারে সাদাকা করা আবশ্যক নয়। অল্প অল্প করে যেমন ৫০০ টাকা/ ১০০০ টাকা এভাবেও সাদকাহ করা যাবে।

,

২. জ্বী হ্যাঁ, এভাবে বেশী করে ধরাও যাবে ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...