ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ যে কোনো মৃত পশুর চামড়া (যা জীবিতাবস্থায় যবাই করে খাওয়া হালাল)
দাবাগত (শুকিয়ে বা কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে দূর্গন্ধমু্ক্ত করে নেওয়া) করে নিলে তা
পাক হয়ে যাবে।
উম্মুল মুমিনীন সাওদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَاتَتْ
لَنَا شَاةٌ فَدَبَغْنَا مَسْكَهَا ثُمَّ مَازِلْنَا نَنْبِذُ فِيْهِ حَتَّى صَارَ
شَنَّا.
“আমাদের একটি ছাগল মরে গেলে ওর চামড়া দাবাগত করে আমরা একটি মশক
বানিয়ে নিয়েছিলাম। যাতে আমরা নাবীয (খেজুর পানিতে ভিজিয়ে যা তৈরি করা হয়) তৈরি করতাম।
এমনকি মশকটি পুরাতন হয়ে যায়।” বুখারী, ৬৬৮৬
,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন-
إِذَا
دُبِغَ الإِهَابُ فَقَدْ طَهُرَ.
“কোনো কাঁচা চামড়া দাবাগত করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়।” সহীহ
মুসলিম, ৩৬৬
,
উপরোক্ত হাদীসটি শূকর (ও কুকুর) ব্যতীত যবেহ করে খাওয়া হালাল
বা হারাম যে কোনো ধরণের পশুর চামড়া দাবাগত করলে পবিত্র হয়ে যায় তা প্রমাণ করে।
■ তবে যে পশুরা নিজ শিকারকে ছিঁড়ে-ফুঁড়ে (হিংস্র প্রাণী) খায় ওদের
চামড়া কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
আবুল মালীহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
نَهَى
رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ جُلُوْدِ السِّبَاعِ.
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিঁড়ে-ফুঁড়ে (হিংস্র
প্রাণী) খায় এমন পশুদের চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।” আবু দাউদ, ৪১৩২
■ মৃত পশুপাখির কেশ, পশম, লোম ইত্যাদি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنۡ
أَصۡوَافِهَا وَأَوۡبَارِهَا وَأَشۡعَارِهَآ أَثاثًا وَمَتٰعًا إِلىٰ حِيْن
“তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পশুদের
পশম, লোম ও কেশ হতে ক্ষণকালের গৃহসামগ্রী ও ব্যবহার উপকরণ” সূরা আন-নাহল, ৮০
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
না, কুকুর ও শুকর এবং হিংস্র প্রাণীর পশম ব্যবহার
করা জায়েজ হবে না। হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
আবুল মালীহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
نَهَى
رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم عَنْ جُلُوْدِ السِّبَاعِ.
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিঁড়ে-ফুঁড়ে (হিংস্র
প্রাণী) খায় এমন পশুদের চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।” আবু দাউদ, ৪১৩২