ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/49447/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পাকিস্থান সরকারের গ্রান্ড মুফতী-
মুফতী শফী রহ. সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর করতে যেয়ে বলেন,
ঐ সমস্ত হুকুম যা কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নেই তাতে দু-রকম বিধি-বিধান রয়েছে
এক. যার সম্পর্ক দ্বীন-ইসলামের
সাথে তথা শরয়ী হুকুম-আহকামের সাথে।
দুই. যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংখলার সাথে।
যেই সমস্ত বিধি-বিধানের সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম-শৃংখলার সাথে তা
বাস্তবায়ন করতে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং যার যেটা ভালো লাগবে
সে সে অনুযায়ী আমল করতে পারবে বা ফায়সালা করতে পারবে। সুতরাং এক্ষেত্রে আইনপ্রনেতা
ও বিচারকগণ সম্পূর্ণ স্বাধীন,
স্থান-কাল বিবেচনা করে তারা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে
পারবেন।
তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - https://www.ifatwa.info/623
,
যেই সমস্ত সরকারী আইন কুরআন সুন্নাহ বিরোধী নয়, সেগুলোকে মান্য
করা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জরুরী।
কোথাও শহর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ যদি মোটর চালিত অটো রিক্সাকে
নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে এমন স্থানে রিক্সা চালানো জায়েয হবে না। হ্যাঁ, যেহেতু চালক
শ্রমের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করছে,
তাই তার রোজী এক্ষেত্রে হারাম হচ্ছে না। তবে সে দন্ডবিধি আরোপের
যোগ্য।
জনসাধারণের জন্যও সরকারী নিয়মকে অগ্রাহ্য করে অটোতে সওয়ার হওয়া
কখনো উচিৎ হবে না।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু
তিনি তার ৫ তলার বাসা ভাড়ার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করছে তাই এক্ষেত্রে এই বাসা ভাড়া হারাম হচ্ছে না। বরং এই ৫ তলার বাসা ভাড়া নেওয়া তার
জন্য জায়েজ। তবে সে দন্ডবিধি আরোপের যোগ্য। কারণ সে সরকারী আইন অমান্য করেছে।