ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রথমত মৌলিক একটি বিষয় আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে যে, মাসআলা বা ফাতাওয়া দেয়া হয়, প্রশ্নকারীর বর্ণনা অনুপাতে। প্রশ্নের শব্দের হেরফের ফাতাওয়া পাল্টে যায়।
যাইহোক, আপনার বক্তব্য অনুপাতেই সমাধান পেশ করা হচ্ছে। যদি আসল অবস্থা ভিন্ন হয়, তাহলে এর দায়দায়িত্ব আমাদের নয়।
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।)(বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/9409
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হওয়া ব্যতিত সে কখনো নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারবে না। এবং স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না বরং নিজের উপর তালাক নিতে পারে। প্রশ্নের বিবরণমতে স্ত্রীর যদি তালাকের অধিকার না থাকে, তাহলে কোর্টে গিয়ে স্ত্রী তালাক গ্রহন করতে পারবে না।
"স্বামীর এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই,বলেছে চলে যেতে চাইলে চলে যেতে পারবে।"
কথোপকথনের উক্ত মজলিসে স্ত্রী যদি নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে নিতো তাহলে তালাক হয়ে যেতো। কিন্তু যেহেতু স্ত্রী তালাক গ্রহণ করেনি, তাই এই অধিকার মজলিসের শেষ পর্যন্ত আর বাকী থাকবে না। এখন নতুন করে আবার অধিকার নিয়ে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে হবে।