ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
خير لنا و شر علي أعدائنا والحمدلله رب العالمين
(ভালো আমাদের জন্য,খারাপ আমাদের শত্রুদের জন্য,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার।)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/734
আপনার প্রতি নসিহা হল,আপনি ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন। আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।" ঘরোয়াভাবে নিজে নিজে রুকইয়াহ করবেন।
https://www.ifatwa.info/3469
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে শয়তান ভয় দেখাচ্ছে। আপনার গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে না। আপনি সর্বদা সকাল সন্ধ্যা হেফাজতের আমলগুলো করবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।
(২) সমস্যা দূর করার ক্ষমতা কারো নেই, সমস্যা একমাত্র আল্লাহই দূর করতে পারেন। এই ধারণা রেখে আমল করতে পারবেন।
(৩) (ক) শয়তান তাকে ভয় দেখায়। এভাবেই পড়া পানি খাওয়াবেন। জাযাকুমুল্লাহ।
(খ) স্বপ্নের সাথে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি তাহাজ্জুদ নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করবেন।
(গ) আপনার বাবা নতুন জীবন পাবেন। তার জীবনের উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।